চট্টগ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া নিজের ভাগনিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মো. রমজান আলী ছোটন (১৬) নামে এক কিশোরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
আজ (২৬ আগস্ট) ভোরে নগরীর বন্দর মাইলের মাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে রবিবার বিকালে একই এলাকার একটি ভবনে ভাগনি শিশু নিপু আক্তার (৯) কে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেফতার হওয়া মো. রমজান আলী ভোলা জেলার সদর উপজেলার কোরালিয়া এলাকার মো. ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। সে হালিশহর বেগমজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ জানায়, হত্যার শিকার নিপুর (৮) মা হাজেরা বিবি ও ছোটন সর্ম্পকে চাচাতো ভাই-বোন। রবিবার বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ভাগনি নিপুকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে ছোটন। পরে নিপু অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে বাসার ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে বের হয়ে যায় বাসা থেকে। সন্ধ্যায় বাসায় এসে নিপুকে ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখে আহাজারি শুরু করেন মা হাজেরা বিবি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিপুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ভাগনি নিপুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামা রমজান আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের মা হাজেরা বিবি বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দাযের করেছেন।
ওসি আরো বলেন, শিশু নিপুর বাবা দিনমজুর এবং মা সিইপিজেডের পোশাক কর্মী। তারা যে ভবনের পঞ্চমতলার বাসায় থাকেন, এর তৃতীয়তলায় নিপুর মায়ের এক চাচা পরিবার নিয়ে থাকেন। রবিবার বিকেলে নিপুর মা-বাবা বাসায় ছিল না। এই ফাঁকে নিপুর মায়ের চাচাতো ভাই তাদের বাসায় ঢুকে নিপুকে ধর্ষণ করে। নিপু বিষয়টি সবাইকে জানাবে বললে সে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
আজ বিকালে সোমবার (২৬ আগস্ট) রমাজান আলীকে আদালতে হাজির করলে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধর্ষকের বিচার না হলে এই অবস্থা হবে। এর জন্য আমরাই দায়ী