অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এ সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে-ডা. শাহাদাত

4
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নির্লজ্জভাবে ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করে আছে বর্তমান সরকার। তারা প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে নিয়েছে। প্রশাসনকে অনৈতিক কাজে ব্যবহার করে তারা এখন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। জামালপুরের ডিসি ও বরিশালের এমপির অনৈতিক কর্মকান্ড তারাই বহি:প্রকাশ। তাই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে।

তিনি আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপি মাটি, মানুষ ও দেশের উন্নয়নে রাজনীতি করে। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিএনপি গঠন করেন। বিএনপি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দলীয়করণ, আধুনিক বাকশাল কায়েম করে শোষণ নির্যাতন করে দেশ চালাচ্ছে। তিনি আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির র‌্যালী ও সমাবেশকে সফল করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা কওে যে শূন্যতার সৃষ্টি করা হয়েছিল তার পূরণে ইতিহাসের দাবী ও দেশবাসীর আকাংখায় বিএনপির অভূদয় হয়েছিল। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নামে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। সেই বিস্ফোরণে এই অবৈধ সরকারের পতন হবে।

সভায় নগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ জিয়া দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে যে দলের অনুসারীরা হবেন বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, ধর্মীয় মূল্যবোধের ধারক ও বাহক। দেশপ্রেমে উজ্জ্বীবিত সৎ ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ধারণায় অনুপ্রাণীত।

নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি আলহাজ এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, আশরাফ চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজু, ইকবাল চৌধুরী, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, কামরুল ইসলাম, সামশুল আলম (ডক), মো. সালাহ উদ্দিন, এস এম জাহাঙ্গির আলম, শিহাব উদ্দিন মুবিন, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, মাহমুদ আলম পান্না, এইচ এম রাশেদ খান, হাজী নূরুল আকতার, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, নুরুল আকবর কাজল, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, কাউন্সিলর মো. আজম, মো. সেকান্দর, আবদুস সাত্তার সেলিম,আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, ডা. লুসি খান, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, আবু মুসা, ফয়েজ আহমেদ, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, আলহাজ জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, হাজী বাদশা মিয়া, শরীফ উদ্দিন খান, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাবিবুর রহমান, নূর হোসাইন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, আলী ইউসুফ, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, আতিকুল্লাহ, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু।

৪ মন্তব্য
  1. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেছেন

    বর্তমান সরকারকে নিয়ে এইসব ফালতু কথা বলেেোনো লাভ হবে না কারণ বর্তমান সরকার বিএনপির নেতাদের কোনো কথা কানে নেই না । আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন থাকবে এদেশে উন্নতি ততদিন হবে, কোন দুর্নীতি হবে না, দেশে অশান্তি হবে না ।জনাব রিজভি সাহেব বর্তমান সরকারের নামে এই সব মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে কোন লাভ হবে না । ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ।

  2. Fahim khan বলেছেন

    র্তমান সরকারের নামে উল্টা পাল্টা কথা বলে সরকারের পাশ থেকে জনগণকে সরাতে পারবেন না । আপনারা যে নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কোন কথা বলেন না তা জনগণের কাছে অজানা কিছু নয় । তাই এই সব বলে জনগণকে আর বিভ্রান্ত করতে পারবেন না । বর্তমান সরকারের পাশে অনগন আছে আর সব সময় থাকবে । জনগণের কাছে আপনাদের আর কানাকড়ি মূল্য নেই

  3. Nojrul Islam বলেছেন

    সরকারের বিরুদ্ধে কথা না বললে এখন আর বিএনপির রাজনীতি করা পূর্ণ হয় না সব সময় সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিকে কোনো-না-কোনোভাবে কথা বলা লাগবে এটি এখন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। সরকার কি এমন কাজ করেছে যে ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে সেটি জানতে চাই।যদি বলা হয় সরকার অবৈধভাবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছে তাহলে অবশ্যই প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। কোন ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারার কারণে বিএনপি’র ধরনের কথাগুলো অবশ্যই অবিশ্বাস্য লাগছে আমাদের কাছে।

  4. Rahul Sen বলেছেন

    কেউ কোন ধরনের অন্যায় কাজ করবে আর সেটির জন্য সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারাবে এমনটাতো হতেই পারেনা। বাংলাদেশের বিভিন্ন দিকের নানা ধরনের অপরাধ হচ্ছে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের দায়িত্ব কিন্তু সরকার সে দিতে ব্যর্থ হওয়া মানে এই নয় যে সরকার নৈতিকতা হারিয়েছে ক্ষমতায় থাকার কারণ বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি তাতে সকল ধরনের সমস্যা গুলোর সমাধান করা আসলেই সম্ভব হয়না। আর যদি নির্বাচনের কথা বলেন তাহলে আপনাদেরকে বলবো নির্বাচনে এই বা সেই হয়েছে সেটি বলার আগে আপনাদেরকে প্রশ্ন করব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরেও এমন সমস্যা গুলো ঠেকাতে চেষ্টা কেন করেননি আপনারা ?তাহলে কি এর দায়ভার আপনাদের তো নিতে হবে না?