চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ৪১ বছর আগে দেশের এক চরম ক্রান্তিকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি দেশ, দেশের মানুষের উন্নয়ন এবং বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সৌহার্দ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে শুরু হয় উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। জিয়াউর রহমান দেশে আওয়ামী লীগের গড়া একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজনসহ ইসলামী মূল্যবোধকে জাগ্রত করেছেন।
তিনি ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন।
এতে তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দলকে আরো গতিশীল করার ক্ষেত্রে মনেপ্রাণে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। পাশাপাশি দেশের যেকোন ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথ নিতে হবে। তিনি চট্টগ্রামবাসীকে বিএনপি’র পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে এগিয়ে আসার জন্য উদ্ধাত্ত আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান আ’লীগ সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে তার ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তিনি ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির রেলী ও সমাবেশ সফল করার জন্য শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ. ম. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ সাধারন সম্পাদক শামসুল আলম (ডক), নগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, রেলওয়ে শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক এম আর মন্জুর, নগর মহিলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, উত্তর জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কামাল পাশা, বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রচার সম্পাদক শফিকুর রহমান মজুমদার, দক্ষিণ জেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মহসিন খান তরুন, উত্তর জেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন, শ্রমিকদল নেতা আবুল কালাম আজাদ, আবু বক্কর ছিদ্দীক, মোঃ ফরিদ, মো,বিপ্লব, মো, দেলোয়ার, ফরিদুল আলম, মো, নুরুন্নবী, আলতাফ হোসেন, আতিকুর রহমান, আবু হেনা, মো,নবী, জান্নাতুল ফেরদৌস বিথী, মো,রফিক, মো,বাবুল, তফাজ্জল হোসেন, মো, ইউনুছ, মো,শরিফ প্রমূখ।
বাংলাদেশ বিএনপি এমন একটি সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যখন বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল শক্তিশালী অবস্থানে ছিল না এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতা কর্মীদের উপর ভীষণ চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপি নামক দলটি সৃষ্টি করেছিলেন জিয়াউর রহমান যা কিনা এক প্রকার স্বৈরাচারের মাধ্যমে সৃষ্টি। আর বিএনপি নেতারা এখন বলছে দেশের ক্রান্তিকালে বিএনপি সৃষ্টি অথচ আমরা দেখেছি অন্যান্য দলগুলোর যখন ক্রান্তিকাল চলছিল এবং দেশের অবস্থা যখন আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল তখনই বিএনপি নামক দলটি সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফালতু কথা বলার আর কোনো জায়গা পান না ? কিসের দেশের চরম ক্রান্তিকালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন জিয়াউর রহমান সেটা দেশের জনগন ভালো করেই জানে । ক্ষমতায় থেকে আওয়ামীলীগকে সরানোর জন্যে জিয়াউর রহমান বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন । বিএনপির মত দল কখনো দেশের জন্যে কিছু করে নি আর দেশের চরম ক্রান্তিকালে শহীদ জিয়া বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এইসব নাটকের কথা বলার কি কোনো মানে আছে ?
জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এমন কথা যখন বিএনপি নেতারা বলে তখন তাদের কাছে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে জিয়াউর রহমান এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন যখন বাংলাদেশে আর কোনো দলের অস্তিত্ব সঠিকভাবে ছিলনা এবং বাংলাদেশের অন্যতম দলকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছিলেন জিয়াউর রহমান।৭৫ এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর বাংলাদেশে আর কোনো ধরনের বাকশাল রাজনীতি চর্চা হয়নি তাহলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিভাবে একদলীয় শাসনকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করলেন ?
দেশে যখন চরম ক্রান্তিকাল ছিল শহীদ জিয়া তখন বিদেশে গিয়েছিলেন এবং তার বউয়ের সাথে সময় কাটিয়ে ছিলেন। যখন তিনি দেখলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাবার পর পাকিস্তানি সকল রাজাকারদের বিরুদ্ধে সকল বাঙালি ।ঠিক তখনই তিনি শেখ মজিবুরের অস্তিত্ব এবং আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব মুছার জন্য বিএনপি দলের প্রতিষ্ঠা করেন।
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে রিম্পি প্রতিষ্ঠা করেছে এ ঘটনাটি পুরো বানোয়াট ।কেননা বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে সে বাংলাদেশি ছিল না। সুতরাং সে কিভাবে বাংলাদেশের চরম ক্রান্তিকালে প্রতিষ্ঠা করতে পারে???
বাংলাদেশ একটি মাত্র দল ছিল সেটি হলো আওয়ামী লীগ। ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই দলের অবদানের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। জিয়াউর রহমান দলের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু তিনি চেয়েছিল আলাদাভাবে দল গঠন করার জন্য, আর তার জন্যই শেখ মুজিবকে হত্যা করে দেশে নতুন করে বিএনপি গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছিল।
দেশের চরম ক্রান্তিকাল টা শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের কারণে। কারণ তিনি ক্ষমতার লোভে বাংলাদেশের জাতির পিতা কে হত্যা করার নির্দেশ দাতা ছিল। আর তার এই কুকর্মের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজের নেতৃত্বে নতুন একটি দল গঠন করা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় বসে বিএনপি নামক একটি দল গঠন করে।