প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না পাকিস্তান: ইমরান খান
ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা সত্ত্বেও পাকিস্তান প্রথমে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার লাহোরে এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। কাশ্মির ইস্যুতে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে গত মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইঙ্গিত দেন, শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ নীতি পরিবর্তনের কথা ভাবছে তার দেশ।
৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ‘চিরবৈরী প্রতিবেশী’ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হচ্ছে ভারতের। ইসলামাবাদ এরইমধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা কাশ্মিরিদের জন্য তাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করবে। এমনকি যুদ্ধের জন্য পাকিস্তান ও সে দেশের সেনাবাহিনী প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত মাসে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিলে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ‘প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না’ বলে এখনও তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভবিষ্যতে এই প্রতিশ্রুতি রাখবে কিনা, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার লাহোরে শিখ ধর্মাবলম্বীদের এক সমাবেশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আমরা উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। এসব উত্তেজনা বাড়তে থাকলে পৃথিবী বিপদে পড়তে পারে। আমাদের দিক থেকে কখনোই প্রথমে এটি ব্যবহার করা হবে না’।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে কাশ্মির ইস্যু। দুই দেশই অঞ্চলটির অংশ বিশেষ শাসন করলেও পুরো অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সংগঠিত তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি সংগঠিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে।
গত মাসে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। বহিষ্কার করা হয় ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় দূতকে। তবে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করে আসছে ভারত।