চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান তার পিতা শহীদ জিয়াউর রহমানের মতোই সারাদেশে অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভকরেছেন। তিনি যখনই বিএনপিকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলে প্রতিনিধি সম্মেলন করে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ঠিক তখনই বর্তমান সরকার তার জনপ্রিয়তায় ভীত নতুন নতুন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে রাজনৈতিক
হয়রানি শুরু করে। তাকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসতে প্রতিনিয়ত বাধা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের শত বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশের সূর্য সন্তান তারেক রহমান বীরের বেশেই দেশে ফিরবেন। প্রতিহিংসা মুক্ত রাজনীতিতে বিশ্বাসী তারেক রহমান এদেশের গণমানুষের
জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তিনি আজ ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে তারেক রহমানের ১২ তম কারামুক্তি দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে ১২ দফায় রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে ব্যাপক নির্যাতন করে। বর্তমান সরকারও তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধান প্রতিপক্ষ ভেবে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়
জড়িয়ে তাকে হয়রানি করে অপপ্রচার চালানো অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামীলীগ তারেক রহমানের বিপুল জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কোথোয়ালী থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দীন নাহিদ প্রমুখ।
আলোচনা সভার আগে বাদে আসর দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দির্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও রোগ মুক্তি কামনা করে বিষেশ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মৌলানা এহসানুল হক।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যক্তি তারেক রহমান যাকে এফবিআই বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর আগে শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলাভাইকে এফবিআই বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। ২০০৩ সালে শায়খ রহমান ও বাংলা ভাই সম্পর্কে বাংলাদেশকে বিশেষ বার্তাও দিয়েছিল এফবিআই। কিন্তু সেই বার্তা আমলে নেয়নি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তার পরেই দেশে জঙ্গীবাদে ভয়াবহ উত্থান ঘটে।
জনাব শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের জন্য আপনি কুলাঙ্গার তারেকের চেয়েও অনেক বেশি যোগ্য ব্যাক্তি।আর আপনার মুখে একজন চোরের পক্ষে সাফাই গাওয়া মেনে নিতে পারছি না।তারেক ক্ষমতায় থাকাকালীন কি করেছে তা সকলের অজানা না।বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করেছে।লন্ডনে বসে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইএসআই এর সাথে চুক্তি করে দেশ ধ্বংসের পাইতারা করছেন।
একজন চোরকে শাহাদাত হোসেন জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক বলছেন।ভুলে গেলে চলবে না দেশে তারেকের কুকর্মের কথা সকলেই জানে।২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ অসংখ্য মামলা আছে তার বিরুদ্ধে।সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে লন্ডনে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আর দেশে ফিরে আসেনি।সেই তারেক কিনা দেশের বাহিরে থেকে দেশের অভন্ত্যরীণ বিষয়ে কথা বলে।আর শাহাদাত হোসেন তারেক মত চোরকে উপাধিতে ভূষিত করছেন