অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

২ কোটি টাকা ভাগাভাগি নিয়ে জাবি ভিসি ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

7
.

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়নের জন্য প্রথম ধাপের ৪৫০ কোটির মধ্যে ২ কোটি টাকা ভাগাভাগি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, জাবি উপাচার্যের নেতৃত্বে ও তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মেগাপ্রকল্পের ৪৫০ কোটির মধ্যে ২ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হলের জায়গা পরিবর্তনসহ উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য আন্দোলনে নামেন। আন্দোলন বেড়ে গেলে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। পরে জাবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাবি উপাচার্য অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তার কাছে প্রকল্প বরাদ্দের চার থেকে ছয় শতাংশ টাকা দাবি করেছে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা উপাচার্যের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।

উপাচার্যের ওই অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। উপাচার্য ম্যাম ঈদের আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি ৬০ টাকা দেন। তার একটি টাকাও আমাদের ছিল না।’

রাব্বানী আরও বলেন, ‘উপাচার্য ম্যামের স্বামী ও ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে কাজের ডিলিংস করে মোটা অঙ্কের কমিশন বাণিজ্য করে।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তা উদ্দেশ্যমূলক এবং মানহানিকর।’

৭ মন্তব্য
  1. Md Firoj বলেছেন

    ওরা তো সবাই ভালই জানেন কেউ নেই দেখার।হবে না কিছু্ই

  2. Kabir Jomadder Nayon বলেছেন

    হায়রে জনগণের টাকা।লুটেরা লুট করে খাচ্ছে

  3. Firoz Kabir বলেছেন

    কাউয়ার মাংস কাউয়াই খাই,,এটাই প্রকৃতির নিয়ম,,,

  4. Ripon Khan বলেছেন

    এই ঘটনার সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কে জড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ছাত্রলীগের যে সুনাম রয়েছে সেটির ক্ষুণ্ন করতে চাচ্ছে জামায়াত-শিবিরের পোর্টালগুলো তা আমরা জানি। এই ঘটনার সাথে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক জড়িত থাকতে পারেন এবং উপাচার্য জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক জড়িত থাকার কোন ধরনের প্রমাণ এখন পর্যন্ত উপস্থাপন করতে পারেনি এই সকল পোর্টালগুলো। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

  5. Harun Rashid বলেছেন

    সবই এক ঘোয়ালের গরু

  6. Rahul Sen বলেছেন

    কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, জাবি উপাচার্যের নেতৃত্বে ও তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মেগাপ্রকল্পের ৪৫০ কোটির মধ্যে ২ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদেরকে নাকি দেওয়া হয়েছে কিন্তু এই গণমাধ্যমগুলো এমন সংবাদ প্রচার করলেও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কোন ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন করতে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। শোভন-রাব্বানী যদি এই টাকাগুলো নিয়ে থাকে তখন তাদেরকে অপরাধী বলা যাবে যখন এই টাকাগুলো তারা নিয়েছে এমন প্রমাণ জনগণের নিকট তুলে ধরতে পারবে সংবাদ মাধ্যম গুলো।

  7. Akash Chy বলেছেন

    মূলত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই প্রধান নেতা কে জনগণের নিকট সমালোচিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে সম্মান আছে সেটিকে ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যেই এই ধরনের সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে সেটি আমরা বুঝতে পারছি। ভাই এই সকল পোর্টাল গুলোকে অবশ্যই বলব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক জাবি উপাচার্য থেকে ২ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন এমন বিষয়টি বলার আগে প্রমাণ উপস্থাপন করুন।