বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, কালুরঘাটে সেতু নির্মাণ নিয়ে গত ১১ বছর ধরে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ একের পর এক কথা ফুলঝুঁড়ি ফুটিয়েছেন। এখন তিনি বলছেন ডিসেম্বর মাসে পদত্যাগ করবেন। এতো বছর কি করেছেন আপনি (সাংসদ)। ডিসেম্বরের দরকার কি, এখনই পদত্যাগ করেন। সংসদ আপনাদের, দেশ আপনাদের তবে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ নিয়ে গড়িমসি কেন?’
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম পাড়ে রেলসহ সড়ক সেতুর দাবিতে পদযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেছেন।
সিপিবি নেতারা জনগণ আর তামাশা দেখতে চায় না উল্লেখ করে অবিলম্বে ‘কর্ণফুলীতে অবিলম্বে রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা কমিটি।
নেতৃবৃন্দ বলেন- উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ নষ্ট না করে কালুরঘাটের অবিলম্বে সড়কসহ রেল সেতু নির্মাণ করে মানুষকে কস্ট থেকে মুক্তি দিন।
তারা আরো বলেন, সেতু যদি করতে না পারেন তবে কালুরঘাট সেতুর ইজারা দেওয়া বন্ধ করে দেন। বৃটিশ আমলের সেতু রেখে আপনারা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছেন আর ভাবছেন মানুষ কিছুই বোঝে না। গরীবের টাকা আপনারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করবেন, মন চাইলে কোটিপতির কোটি কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করে দেবেন- তা হবে না।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি আবদুল নবী সভাপতিত্বে ও বোয়ালখালী উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, কমরেড মৃণাল চৌধুরী, অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, শ্রমিক নেতা পুলক দাশ, মসিউদ্দোল্লা, কালুরঘাট বোয়ালখালী সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক রমেন দাশগুপ্ত, অনুপম বড়ুয়া পারু, অমৃত বড়ুয়া, স্বপন দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা অমল নাথ, জামাল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল নাসের, ডা. অসীম চৌধুরী, সেহাব উদ্দিন সাইফু, সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল, আমীর হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় দাশ, বোয়ালখালী উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সৈয়দুল আলম প্রমুখ
আপনারা চাইবেন আর কেউ পদত্যাগ করবে এটা তো হতে পারে না, তবে এটি বলতে পারি কালুরঘাট সেতু যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যায় সেজন্য অবশ্যই এমন সকল ব্যবস্থা বাদল সাহেব গ্রহণ করার চেষ্টা করেছেন যাতে কালুরঘাট ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারি মানুষের সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়। আমরা জানি একনেকে ও কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি উঠেছে এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কালুরঘাট সেতু ঠিক হয়ে যাবে। তাই আপনারা কারো পদত্যাগ দাবি না করে আগে অবশ্যই কালুরঘাট সেতু জানে দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যায় সেই জন্য আন্দোলন করুন।
সরকারবিরোধী একটি অবস্থান আপনাদের রয়েছে বলে এখন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন করে জয়ী হওয়া মহিউদ্দিন খান বাদল ভাইয়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেছেন। আর পদত্যাগ চাইলেই কি এই ধরনের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে নাকি? কালুরঘাট সেতু নিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের দক্ষিণ জেলা বাসীর অনেক দিনের দাবি ছিল যাতে কালুরঘাট সেতু নতুন করে করা হয় কিন্তু বিএনপির শাসনামল কিংবা আওয়ামী লীগ শাসনামলে এটি এখনো হতে পারেনি। তবে আমরা জানি একনেকে কালুরঘাট সেতু হওয়ার জন্য বিল পাস হয়ে রয়েছে শুধুমাত্র কিছু প্রক্রিয়া সঠিকভাবে গ্রহণ করা গেলেই অতিসত্বর এই সেতুর কাজ শুরু হবে।