অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে আটক ইসি কর্মচারী মোস্তফা ফারুক ৫ দিনের রিমাণ্ডে

0
.

রোহিঙ্গাদের ভোটার ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নির্বাচন কমিশনের মোস্তফা ফারুকে ৫ দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার বিকালে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমাণ্ড চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম নোমান এর আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া পাঠক ডট নিউজকে বলেন,মোস্তফা ফারুককে আমরা সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম।  শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে ইসির এ অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

.

পরে বাসা থেকে দুইটি ল্যাপটপ, মডেম, পেনড্রাইভ, আইডি কার্ডের লেমিনেটিং সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নগরীর দামপাড়ায় সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা ফারুককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের এনআইডি জালিয়াতির মামলায় আমরা জয়নাল আবেদিন নামে একজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুককে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। তথ্যপ্রমাণ পাবার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনে কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় মোস্তফা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার হামজারবাগের বাসা থেকে দুইটি ল্যাপটপ, ১টি মডেম, ১টি পেনড্রাইভ, ৩টি সিগন্যাচার প্যাড, আইডি কার্ডের লেমিনেটিং সরঞ্জাম ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানান, ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পে অস্থায়ী চাকরি করতেন। কমিশনের বিভিন্ন অফিসে তার ‘এক্সেস’ ছিল। ক্যাম্প থেকে কয়েকটা ধাপে রোহিঙ্গাদের আনা হতো। কমিশনের ক্লারিক্যাল লেবেলের অস্থায়ীদেরকে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কাজে ব্যবহার করা হতো।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রকল্পে কাজ করে মোস্তফা ফারুক। ফেনীর দমদমা লস্কর হাটে তার বাড়ি।

.

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফারুকের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডেল মডেলের ল্যাপটপটি নির্বাচন কমিশনের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট শনাক্ত করেছেন, যা নির্বাচন কমিশনের ল্যাপটপ। তবে ল্যাপটপের তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। অপরাধীরা তথ্য মুছে ফেলে যাতে ধরা না পড়ে। আমরা পেনড্রাইভে রোহিঙ্গাদের অনেক তথ্য পেয়েছি। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ মামলায় তিন আসামিকে রিমান্ডে আনা হলে তাদের সূত্রে ফারুকের নাম আসে। ফারুককে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজমের উপ পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে কাজ করছি আমরা।

জানাগেছে- মোস্তফা ফারুক চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯’ এ যুক্ত আছেন। ভুয়া তথ্য দেওয়া ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া মোস্তফা ফারুককে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তিন বছরের মাথায় আবারও একই দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।