অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লৌহজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন নিয়মে ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী

0
.

শিপব্রেকিং শিল্প থেকে স্ক্র্যাপ লোহা সংগ্রহকারী লোহাজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর প্যাকেজ পদ্ধতি (বার্ষরিক) পরিবর্তে নতুন নিয়মে প্রতিমাসে ভ্যাট আদায়ের সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন লৌহজাত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে নতুন নিয়মে ট্যাক্স আদায়ের এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।

শনিবার পাহাড়তলী লৌহজাত ব্যবসায়ী সমিতির এক সাধারণ সভায় নেতৃবৃন্দ এই দাবী জানিয়ে বলেন, চিটাগাং চেম্বারে এনবিআর’র ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের বৈঠকের পর এ থেকে সি ক্যটাগরিতে লোহজাত ব্যবসায়ীরা ৯২ সাল থেকে ১৪ থেকে ২৮ হাজার টাকা প্যাকেজ ভ্যাট দিয়ে আসছে।

কিন্তু সম্প্রতি সময়ে নতুন করে প্রতিমাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার ভ্যাট আদায়ের ঘোষণার প্রেক্ষিতে লৌহজাত শিল্পে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সব সময় সরকারকে ভ্যাট দিয়ে আসছি। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দেয়ার পক্ষে। কিন্তু নতুন নিয়মে ভ্যাট আদায় করলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীেদের উপর লোকসান গুনতে হবে।

তাই লৌহজাত শিল্পে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সহনীয় পর্যায়ে পূর্বের ন্যায় বার্ষিক এককালিন ভ্যাট আদায়ের পদ্ধতি বহাল রাখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দাবী জানান।

নগরীর সাগরিকা রোড়স্থ সাগরিকা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভপতি আলহাজ্ব মো সিরাজ উদ দৌলা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুল আলমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আলহাজ্ব মো. শামসুল আলম, আলহাজ্ব মো. সেকান্দর, আলহাজ্ব আনোয়ারুল হক প্রমুখ।

পরে আলহাজ্ব মো সিরাজ উদ দৌলাকে সভাপতি ও মাহবুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে পাহাড়তলী লৌহজাত ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ২০১৯-২০২১ সালের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন- সি. সহসভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল হুদা জাহাঙ্গীর, সহ-সভাপতি-আলহাজ্ব মো. মুসলেহ উদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক-মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক-আলহাজ্ব দোস্ত মোহাম্মদ, কোষাধক্ষ্য-মো. নাজিম উদ্দিন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক-সামশেদ আলী (সামশু), সমাজ কল্যাণ সম্পাদক-আলহাজ্ব শেখ আহম্মদ কায়সার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জসিম উদ্দিন।

কার্যকরী সদস্য আলহাজ্ব সুলতান আহম্মদ (বাচ্চু মেম্বার), মোহাম্মদ মিন্টু ও খলিলুর রহমান।