অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জুয়া ও ক্যাসিনোর মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে হবে : আবুল হাশেম বক্কর

8
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার এতদিন জুয়া আর ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করে আসলেও এখন ভাগ ভাটোয়ারার সমস্যা হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করছে। জুয়া ও ক্যাসিনোর মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে হবে। চুনোপুঁটি ধরে লাভ হবে না, তাদের গডফাদারদের ধরতে হবে। সরকার শুধু জুয়াড়ি ধরে জাতির সামনে তামাশা করছে। জুয়ড়ি নয় আশ্রয় প্রশ্রয়ে এইসব পরিচালনা হচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।

তিনি আজ ২৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বিকালে নগরীর আমিন শিল্পাঞ্চল এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে নেতকর্মী ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারের মাথায় পচন ধরেছে এখন পায়ের চিকিৎসা করে কোন লাভ হবে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ ব্যাংকে টাকা নাই, পুজিবাজারে হাহাকার। রাষ্ট্রের টাকা লোপাট করে সরকারী দলের নেতাদের বাড়ি এখন এক একটি ব্যাংক এ পরিণত হয়েছে।

গণসংযোগ শেষে অসুস্থ আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহসান উল্লাহ ও নগর যুবদলের সহ প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে দেখতে যান এবং তাদের শারীরিক সুস্থতার খোজ খবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মীর্জা, আর. ইউ. চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা, সহ প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হাই, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, নগর কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনু, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, এরশাদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুবেল, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাতেন, হাজী ওসমান, মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইসমাইল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. শফি, আবদুল গণি, মজিবুল হক মজু প্রমুখ।

. যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানের পাশে আবুল হাশেম বক্কর

গণসংযোগ শেষে  অসুস্থ্য নগর যুবদলের সহ প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে দেখতে তার বাসায় যান আবুল হাশেম বক্কর। এসময় তিনি মাহবুবুর রহমানের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নেন।

 

৮ মন্তব্য
  1. Md Azizul Islam বলেছেন

    yes

  2. Manna Mazumder বলেছেন

    মুলহোতা তো খোকা আব্বাস রা,,,,,,

  3. Abdul Hai Chuttu বলেছেন

    যাদের হাত ধরে এই জুয়া এদেশে এসেছে, তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।

  4. জহির ভাই বলেছেন

    যোয়াও ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে যার মাধ্যমে এই ক্যাসিনো ও জুয়া ব্যবসার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই তারেক জিয়াকে আপনারা কখনো গ্রেপ্তারের কথা মুখে পারেননি। কারণে সকল ব্যবসার টাকার ভাগ বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা ফখরুল ও রুহুল কবির রিজভী ও পেতেন। তাই এই সকল বিষয়ে কথা বলতে আপনাদের মুখে লজ্জা থাকা উচিত!

  5. তুহিন ভাই বলেছেন

    আপনি এবং আপনারা বলছেন যারা জুয়া এবং ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা লাগবে। অথচ অবাক করার মতো বিষয় হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যারা এই সকল অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে বাংলাদেশের প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

  6. Nojrul Islam বলেছেন

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রশাসন এমন মানুষগুলোকে আজকে গ্রেফতার করছে যাদের বিরুদ্ধে সবচাইতে বেশি অভিযোগ রয়েছে এই ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড গুলোর সাথে জড়িত থাকার জন্যে। অথচ বিএনপি বাংলাদেশের প্রশাসনের এই ধরনের অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এখন বলছে যাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা মূল অপরাধী নয়। অথচ খুব ভালো করে যদি একটু নজরদারি করা হয় তাহলে দেখা যাবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারাই বাংলাদেশের সকল অপরাধীদের নিয়ন্ত্রক।

  7. Rahul Sen বলেছেন

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অবশ্যই অপরাধী এবং অপকর্কারী মুক্ত হবে সেটি আমরা ভালো করেই জানি। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই ধরনের উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য দলের যে সকল কর্মী অবৈধ অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং আমরা খুব ভাল করেই জানি যে সকল মানুষ গুলোকে ধরা হচ্ছে তারা সবচাইতে বড় অপরাধীদের তালিকা থাকবে।এরপরেও যারা এই ধরনের কথা বলে তারা আসলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই ধরনের অসাধারণ গ্রহণযোগ্য উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।

  8. Akash Chy বলেছেন

    আমরা খুব ভালো করেই জানি যারা কিনা এই ধরনের কার্যক্রমগুলো চালাচ্ছে এবং যারা এই ধরনের কার্যক্রমগুলো চালানোর জন্য অপরাধীদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে স্বাগতম না জানিয়ে যারা নানা ধরনের কথা বলছে তাদেরকে বলব আপনাদের নেত্রী যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন আপনাদের দলের যে সকল নেতাকর্মীরা নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল যে এখন আপনারা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নানা ধরনের উপদেশ প্রদান করছেন ?