অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে বাদ পড়লেন হুইপপুত্র

2
.

অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের অর্থ-বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।নির্ভরযোগ্য সূত্র এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী সরকারের অভিযানে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বিতর্কিত হন হুইপ ও চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের নিয়ন্ত্রক শামসুল হক চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে জুয়ার আসরে পৃষ্ঠপোষকতায় খোদ আওয়ামী লীগের একাংশের অভিযোগ। এরপরই বাবার বয়সী আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে অশোভন আচরণ করে বিতর্কিত হন হুইপপুত্র শারুন। এ নিয়ে হুইপপুত্রের অডিও ফাঁস হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই একে-৪৭ রাইফেল হাতে যুদ্ধংদেহী মনোভাবে উপর্যুপরি ফায়ার এবং বিদেশি মদ বিলাসের ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয় ফেসবুকে। এতে করে ব্যাপক বিতর্কে জড়িয়ে পড়া হুইপপুত্র শারুনকে সরকারি নীতি-নির্ধারকরা শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক হিসেবেই নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে মনোনীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ বিষয়ে চেম্বার সচিব মো. ফারুক মন্তব্য করতে রাজি না হলেও হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি না। আমার পরিবার থেকে এসব বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

২ মন্তব্য
  1. কাজী তারা হায়দার বলেছেন

    হুইপ পুত্রের প্রধানমন্ত্রীর সাথে যাওয়া বাতিল হওয়া থেকে বোঝা যায় শেখ হাসিনা কখনো অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দেন না। হুইপ পুত্রের নামে যে সকল অভিযোগ উঠেছে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি কিন্তু তারপরেও তার নামে যখন অভিযোগ এসেছে এমন প্রশ্নবিদ্ধ কাউকে নিয়ে যেতে রাজি নন শেখ হাসিনা সেইজন্য তার নাম বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু সেই সাথে এটাও বলব হুইপ পুত্র নামে যে সকল সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে সেগুলো একটি মহল বিশেষভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, যেটা কখনো মেনে নেওয়ার মতো নয়।

  2. Siraz Gazzi বলেছেন

    বর্তমানে শেখ হাসিনা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ধরনের কোন ব্যক্তিকে নিজের পাশে রাখতে চাইছেন না। অর্থাৎ যে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে নানান প্রকার অভিযোগ আসছে, যাদের সাথে জনগণের সম্পর্ক অতটা ভালো না তাদেরকে নিজের পাশে রাখতে রাজি নন তিনি। এটা থেকে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে শেখ হাসিনা জনবান্ধব নয় এমন ব্যক্তিদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন কারণ তার কাছে দেশের জনগণের মূল্য অনেক বেশি। তার এমন কাজ থেকে আপনাদের শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি।