অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

তৃণমূলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের নিয়ে শিঘ্রই দক্ষিণ জেলা বিএনপির পুন:গঠন করা হবে

2
.

দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালাচ্ছে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখন শান্তিতে নেই। যারা ভিন্ন মতের আর্দশ লালন করে, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় তাদের উপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগ সরকার দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়েছে ভারতের কাছে। তারা ভারতের সাথে যে চুক্তি করেছে তাতে বাংলাদেশের ন্যূনতম স্বার্থ রক্ষা করা হয়নি বলে দাবী করে তিনি বলেন, চুক্তিতে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি, তারা শতভাগ ভারতের কাছে বিলিয়ে দিয়েছেন।

আজ ১০ অক্টোবর বৃস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আবু সুফিয়ান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলার পরও বিএনপি মানুষের অধিকারের কথা বলছেন। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো প্রমাণ করে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ তাদের ছাত্র, যুব ও দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। কোনো প্রকার আদর্শের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা না করে শুধু পেশী শক্তি নির্ভর দল পরিচালনায় কী ভয়াবহ পরিণতি আনে তা আজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সারাদেশে এখন আইনের শাসনের পরিবর্তে আওয়ামী দু:শাসন চলছে দাবি করে দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা এ দেশে এখন সুদূর অতীতের গল্প। ছাত্রলীগ কর্তৃক আবরার হত্যাকাণ্ড একটি উদাহরণ মাত্র। সারাদেশে বিরোধী দল ও মতের মানুষের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সংগঠন যুবলীগ-ছাত্রলীগের অন্যায় ও অত্যাচার যেকোনও সময়ের তুলনায় সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

আবু সুফিয়ান আরো বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দলের উপর এত দমন নিপীড়ন পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিগত ১৩ বছর ধরে বিএনপি সীমাহীন প্রতিকূলতার মধ্যদিযে এগিয়ে যাচ্ছে। ১১/১ এর অসাংবিধানিক সরকার এবং পরবর্তী আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপিকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক সাংগঠনিক কর্মকান্ডও পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। এ অবস্থায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির দায়িত্ব নেয়ায় সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, কোন প্রকার ব্যক্তিগত পছন্দ ও অপছন্দকে প্রশ্রয় না দিয়ে দলের তৃণমূলের ত্যাগী, পরিক্ষীত, দক্ষ ও যোগ্য নেতাদের নিয়ে শিঘ্রই দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী গঠন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি জানান, আগামীকাল শুক্রবার আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আনুষ্ঠানিক র্কাযক্রম শুরু হবে।

আগামী ৩ মাসের মধ্যে ইউনিয়ন, পৌর সভা ও উপজেলার সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান। উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, মোশারফ হোসেন, এম রহিম, এড. মো. ফোরকান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এহসান এ খান, এম. মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এসএম মামুন মিয়, মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, মোজাফফর আহাম্মেদ টিপু, লিয়াকত আলী, অ্যাড. নূরুল ইসলাম, বোয়ালখালীর মেয়র আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু মো. নিপার, অ্যাড. ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, নূরুল ইসলাম সওদাগর, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবা উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ন কবির আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, হাজী রফিক, নবাব মিয়া, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, এহসানুল মাওলা, নূরুল কবির, মইনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়া উদ্দিন আশফাক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, চন্দ্রগুপ্ত বড়ুয়া প্রমুখ।

২ মন্তব্য
  1. Md. Robi বলেছেন

    বিএনপি যে ভাবেই পুনর্গঠিত হোক না কেন তাতে কোন লাভ হবে না । এদের পাশে কোন জনগণ নেই । জনগণ এদের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে । শুধুমাত্র এদের অপকর্মের জন্য । বিএনপি নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য রাজনীতি করে । আর এটার প্রমান বিএনপি ক্ষমতায় থেকে করে দিয়েছে । তাই জনগণও আর বিএনপিকে সাপোর্ট করে দেশে খাল কেটে কুমির আনতে চায় না ।

  2. Rony hassan বলেছেন

    আপনারা যাই করেন, কোন লাভ নেই। বিএনপি ষড়যন্ত্র, খুন,মিথ্যাচার, চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদই বিএনপির রাজনীতির মুল নীতি ।একটি ভাঙ্গা সুটকেস ও ছেড়া গেঞ্জির ইতিহাস থেকে কিভাবে প্রাসাদ তুল্য অট্রলিকা ও হাজার কোটি টাকার ইতিহাস ধীরে ধীরে জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ।