অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সংসার ভাঙছে অভিনেতা সিদ্দিকের

0
.

২০১২ সালের ২৪ মে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সিদ্দিকুর রহমান প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে। এরপর এই দম্পতির ঘরে ২০১৩ সালের ২৫ জুন আসে এক পুত্র সন্তান। নাম আরশ হোসেন।

কিন্তু এই দম্পতির সংসার আর বেশি দিন টিকছে না। ঘর ভাঙছে সিদ্দিক ও মিম দম্পতির। এমনটি জানিয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিম।

সোমবার হঠাৎ করেই সিদ্দিক ও মিমের সংসারের টানাপড়েনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। খুব শিগগির মিম সিদ্দিককে ডিভোর্সের কাগজ পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে সিদ্দিক জানান, তিনি ডিভোর্স চান না, সংসার করতে চান।

মারিয়া মিম বলেন, ‘সে আমাকে মিডিয়াতে কাজ করতে দিতে চায় না। এছাড়া নানা কারণে আমাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে অনেক দিন হল। আমরা কয়েক মাস ধরে আলাদাও থাকছি। তাই ডিসিশন ফাইনাল আমাদের বিচ্ছেদের। আমাদের পরিবারও এই ব্যাপারটা জেনে গেছে।’

.

জানা গেছে, দুইজনের এই আলাদা থাকার সময় তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান বাবা সিদ্দিকের সঙ্গেই থাকছে। এর আগে ১৪ অক্টোবর একাধিক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মিডিয়াতে কাজ করতে না দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন মারিয়া মিম।

এ প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘মিম নিয়মিত মিডিয়াতে কাজ করতে চায়। কিন্তু আমার এতে আপত্তি আছে। কারণ আমাদের ছয় বছর বয়সী একটা ছেলে আছে। এখন তার পাশে তার মায়ের থাকা খুব প্রয়োজন। যেহেতু আমি ব্যস্ত থাকার করণে ছেলের একদম খেয়াল রাখতে পারি না। তাহলে এমন অবস্থায় আমি মিমকে কীভাবে কাজ করতে দিই?’

‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার মনোমালিন্য হয়েছে। এরপর মিম গত ঈদুল আযহায় তার বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর আসেনি। এখন প্রায় তিন মাস ধরে আমরা আলাদা থাকছি। তবে আমাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে। গতকালও (রবিবার, ১৩ অক্টোবর) ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এর মধ্যে এসব বিচ্ছেদের খবর শুনছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিচ্ছেদ ঘটেনি।’

সিদ্দিক আরও জানান, মিম ফিরে আসলে তিনি আবার আগের মতই সংসার করতে চান। কিন্তু সন্তানের ভালোর জন্য স্ত্রীকে তিনি মিডিয়াতে কাজ করার অনুমতি দেবেন না। ২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিম ও অভিনেতা সিদ্দিকের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালের ২৫ জুন মাসে তাদের সংসারে জন্ম নেয় একমাত্র পুত্র সন্তান।