অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আমি সাক্ষী দিয়ে বলছি- বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি : মেনন

11
.

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘বিগত নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত (এমপি) হয়েছি। তারপরও আমি সাক্ষী দিয়ে বলছি- বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বিগত জাতীয়, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোথাও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।’

শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মেনন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন, আজকে কেন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে আসে না?

জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি রাশেদ খান মেনন ছাড়াও প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় নেতা কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক।

বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাবেক এমপি টিপু সুলতান, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শান্তি দাস, জেলার সম্পদকমন্ডলীর সদস্য বিশ্বজিৎ বাজৈ, ফাইজুল হক বালী ফারাইন, জেলা গনফোরাম সভাপতি হিরন কুমার দাস মিটু, সিপিবি’র প্রবীন নেতা আব্দুল মন্নান, বাবুগঞ্জ উপজেলা ওয়ার্কার্সা পার্টির সম্পাদক শাহিন হোসেন ও জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি মিন্টু দে প্রমুখ।

সম্মেলনে ১৪ দলের অন্যতম শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতা মেনন আরও বলেন, উন্নয়ন মানে গণতন্ত্র হরণ নয়, উন্নয়ন মানে ভিন্ন মতের সংকোচন নয়, উন্নয়ন মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়, উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের স্পেস (সুযোগ) কমিয়ে দেয়া নয়। সারা দেশে মানবিক মূল্যবোধের চরম বিপর্যয় ঘটেছে।

মেনন বলেন, ক্যাসিনো মালিকদের ধরা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতির আসল জায়গা নির্বিঘ্ন আছে। সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার কবে হবে, তাদের সাঁজা কবে হবে, তাদের সম্পদ কবে বাজেয়াপ্ত হবে- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে ছাত্ররাজনীতি কলুসিত করছে অভিযোগ করে মেনন বলেন, দেশে প্রচুর উন্নয়নের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে রোল মডেল। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে মেনন আরও বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) চারপাশে দুর্নীতির ঘুনোপোকারা, তার চারপাশে সম্পদ লুটেরারা, তার চারপাশে অর্থ আত্মসাতকারীরা। তারা ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সম্পদ গড়ে তোলে। মাত্র ২ ভাগ লোকের হাতে দেশের ৩৩ ভাগ সম্পদ চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন মেনন। এদিকে দুপরের পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়।

১১ মন্তব্য
  1. Fahim sultan বলেছেন

    মেনন সাহেবরা হলেন সেই ধরনের লোক যারা সুবিধা বুঝে শুধু কথা বলা শিখেছেন। যখনই দেখেন তাদের সুবিধার বিরুদ্ধে অথবা তাদের কিছুতে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তখনই তারা নিজেদের রূপ বদলে অন্য দলে চলে যেতে পারেন। কিন্তু যেটা মূল কাহিনী সেটা হলো দেশের জনগণের আওয়ামী লীগের উপর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে আর আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা রয়েছে বলেই এখনো পর্যন্ত ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিষয়ে শেখ হাসিনার অথবা পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আশা করে থাকে দেশের মানুষ। তাই এ ধরনের বিভ্রান্তিকর কথা বলে কোন লাভ হবে না।

  2. Afsar uddin বলেছেন

    দেশের জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে না থাকে অথবা নির্বাচনের মধ্যে ভোট না দেয় তাহলে কি করে আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে আগে সেটা বলেন। সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেকেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল। তার মাধ্যমে কোনোভাবেই ভোট চুরি করে নির্বাচনে জয় লাভ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা করছে। এতেই বোঝা যায় দেশের জনগণের আস্থা ও ভরসা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করতে পারছে।

  3. Zia Abedin Hasan বলেছেন

    মেনন সাহেব নিজেও একজন সংসদের মেম্বার। নীতিবানদের মত কথা বলছেন দয়া করে পদত্যাগ করার পরে বলতেন তাহলে মানানসই হত।

  4. Khandakar Mansur বলেছেন

    How could you become mp?

  5. ফেরারী মন বলেছেন

    ইতিহাসের বিরল একটি প্রাণী

  6. Mannan বলেছেন

    জাতীয় বেইমান

  7. Manna Mazumder বলেছেন

    তখনতো মুখে কুলুপ এটেছিলেন,এখন কেউ বিশ্বাস ও করবেনা বরং জুতা মারবে সামনে পেলে,সাবধান।

  8. Yesmin khan বলেছেন

    এখন তো এইসব কথা বলবেনই কারণ আওয়ামীলীগ থেকে যে আপনাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন সেই কারণে এখন আওয়ামীলীগ সরকার নিয়ে মিথ্যাচার করতে এইসব কথা বলছেন মেনন সাহেব। এইসব এর কোনো মানেই হয় না আপনাকে আপনার দুর্নীতির জন্যে দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে এখন আপনি এইসব কথা বলে সরকারে নামে মিথ্যাচার করছেন।ি

  9. আবু সাদেক ইশা বলেছেন

    এখন তো সাক্ষী দিবে কারণ আপনার মত দুর্নীতি বাজ নেতা যাদের এই আওয়ামীলীগ এর দল থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল সেই মেনন এখন এই ধরনের কথা যে বলবে সেটা আমরা সবাই ভালো করেই জানি । মেনন সাহেব যে এখন বিএনপির দালালী করতে ব্যস্ত সেটা আমরা ভালো করেই বুঝতে পারছি ।

  10. Shahadat Hossain SR II বলেছেন

    মেনন সাহেব মন্ত্রিত্ব হারিয়ে তো এখন মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আপনারা দীর্ঘদিন ধরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এবং আদালতে যখন এই অভিযোগটি প্রমাণ করার কথা হয়েছিল তখন আপনারা এ নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন বলে প্রমাণ করতে পারেননি।এরপরেও আপনাদের এই নোংরা আমার সাথে এখনো চলমান রেখেছেন।

  11. Bakesh Babo বলেছেন

    মন্ত্রিত্ব হারিয়ে মিলন সাহেব এখন ভারসাম্যহীন মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে। যদি একাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট না দিতো তাহলে আপনারা কারচুপির নির্বাচন হয়েছে এই অভিযোগটি বারণ করার পরেও কোন প্রমাণ দিতে কেন পারেননি??? অনেক তো চেষ্টা করেছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার। সফলতা পেয়েছেন কি???