পূর্ণবাসন না করে বস্তি উচ্ছেদ করা অগণতান্ত্রিক সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ
শহর বাঁচাতে বস্তি উচ্ছেদ নয় বরং পুনর্বাসন করা প্রয়োজন। বস্তিবাসীর জন্য বহুতল ভবন গড়ে তুলে দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে অ্যাপার্টমেন্ট দেয়ার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বস্তিবাসিদের পূর্ণবাসন না করে বস্তি উচ্ছেদ করা অগণতান্ত্রিক সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবেন বহিঃপ্রকাশ। বস্তিবাসী নগর জীবন বাঁচিয়ে রেখেছে। পরিবহন, অফিস-আদালত, কাজের বুয়া, বাসার নিরাপত্তাকর্মীসহ নানা পেশায় বস্তিবাসীরা যুক্ত। তাদের বাদ দিয়ে নগর সচল হতে পারে না।
তিনি আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার সকালে নগরীর বাটালী রোডের জামতলা কলোনী ও বয়লার এভিনিউ এলাকার উচ্ছেদ করা এলাকা পরিদর্শন ও বস্তিবাসীকে শান্ত¡না দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার মানুষের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়নি বিধায় সাধারণ জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ নেই। জামতলা কলোনী ও বয়লার এভিনিউ এলাকার মানুষ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসলেও সরকার বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। ফলে তারা এক কাপড় নিয়েই বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তার উপর খোলা আকাশের নিচে সব সম্বল হারিয়ে মানবতার দিনযাপন করছে। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা এই দেশে এসে আরাম আয়েশে জীবন যাপন করলেও দেশের মানুষেরা আজ অধিকারহীন। তারা তাদের কথা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে জানাতে পারছে না। কারণ মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
পরে তিনি নগরীর জহুর হকার্স মাকের্টে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট পরিদর্শন করেন এবং সর্বস্ব হারানো ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে সমাবেদনা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, কোতোয়ালী থানা বিএনপি সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর বিএনপির সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন লাতু, সদস্য ইউসুফ সিকদার, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন আলী নূর, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বাশার, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, আলকরণ ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, নগর যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. নওশাদ, সহ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবু মুসা, মো. বেলাল উদ্দিন, মো. আবুর কালাম, ওসমান গণি, খোরশেদ আলম, ছালে আহমদ, আবদুশ শুক্কুর, মিঠুন দাশ, কামাল মিয়া, সরাফত আলী, ওজি উল্লাহ, আক্কাস মিয়া, এরশাদ উল্লাহ, মো. কামাল উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, জহির উদ্দিন, মো. ফারুক, মো. বেলাল, মো. পারভেজ প্রমুখ।
সরকারের সম্বন্ধে না জেনে মন্তব্য প্রকাশ করার যে বদভ্যাস আপনাদের রয়েছে সে বদভ্যাসটি পরিবর্তন করুন। বস্তি উচ্ছেদ করার আগে এখানে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তারপরেও তারা এই জায়গাটি ছাড়তে চায় নাই। এবং তারা এই জায়গার মধ্যে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। এইজন্য প্রশাসন জোরপূর্বক তাদেরকে এই জায়গা ছাড়তে বাধ্য করে। কিন্তু তাদের পুনর্বাসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে তাই বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে অপেক্ষা করুন।
ছবি দিয়েছেন হকার এ আগুন লাগার কিন্তু কথা বলছেন বস্তি উচ্ছেদ। এটা দেখেই বোঝা যায় আপনাদের মানসিক ভারসাম্য কতটা দুর্বল। যাই হোক যদি বস্তি উচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলে থাকেন তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এই বস্তিতে যারা বসবাস করত তারা অবৈধভাবে বস্তি দখল করে রেখেছিল এবং সেই জন্য প্রশাসন উচ্ছেদ করতে বাধ্য হয়েছে। তাছাড়াও তাদেরকে উচ্ছেদ করার আগে অনেকবার নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই নোটিশের সারা দেয় নাই তাই পুরো ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে কারো বিরুদ্ধে কথা বলা কখনই উচিত নয়।