অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সরকার এখনো বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দু:স্বপ্নে বিভোর-আবু সুফিয়ান

5
.

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, বিগত তের বছর ধরে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী শক্তির উপর নজীর বিহীন নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হতে শুরু করে গ্রাম মহল্লার কর্মী সমর্থক পর্যন্ত কেউ এই সরকারের অব্যাহত হামলা মামলা, জেল জুলুম, হত্যা গুপ্ত হত্যা নির্যাতন নিপীড়নের হাত থেকে রেহায় পায়নি।

তিনি আজ সোমবার (২১অক্টোবর) বিকালে নগরীর দোস্তবিল্ডিংস্থ দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নব গঠিত আহবায়ক কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্য  তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তির শিকড় বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ে পুঁতিত বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত নির্যাতনের পরও বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির প্রতি বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনে শেখ হাসিনা ঈশান্বিত। তাই আওয়ামী সরকার এখনো

বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দু:স্বপ্নে বিভোর। ক্ষমতাসীনদের এই দু:স্বপ্ন বাংলাদেশের মাটিতে কোনদিন সফল হবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন শহীদ জিয়া, সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দিয়েছেন শহীদ জিয়া, হারানো গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন শহীদ জিয়া, দুর্ভিক্ষ দু:শাসন- চোরের খনি- তলাবিহীন জুড়ির বদনাম ঘুচিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে দেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন শহীদ জিয়া। তার হাতে গড়া সংগঠন বিএনপি এই দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছেন বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে। দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের একমাত্র প্লাটফরম বিএনপিকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করে জনগণের হারানো গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আবু সুফিয়ান নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

 জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. আলী আব্বাছ, আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য এড. কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, অ্যাড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, মোশারফ হোসেন, শহিদুল আলম বুলবুল, এম এ রহিম, নূরুল আনোয়ার, এড. ফোরকান, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, এম. মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, অধ্যাপক মোজাফফর আহাম্মেদ চৌধুরী টিপু, চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, অ্যাড. নূরুল ইসলাম, মেয়র আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, অ্যাড. ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, নূরুল ইসলাম সওদাগর, জামাল হোসেন, ভিপি মোজাম্মেল হক, মেজবা উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ন কবির আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী রফিক, নবাব মিয়া, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, অধ্যাপক এহসানুল মাওলা, নূরুল কবির, মইনুল আলম ছোটন, মোক্তার আহমেদ, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়া উদ্দিন আশফাক, সাজ্জাদুর রহমান, লোকমান হোসেন মানিক, মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাড. কাশেম চৌধুরী, এস এম সলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, শওকত আলম, জসিম উদ্দিন ও কমিশনার নিলুফা ইয়াসমিন প্রমূখ।

সভায় ব্যাপক আলাপ আলোচনার পর উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সম্মতিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আওতাধীন সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। একই সাথে আগামী ৭ দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে উপজেলা ও পৌর ইউনিটের আহবায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৫ মন্তব্য
  1. জহির ভাই বলেছেন

    বিএনপি’র মত একটি জনসমর্থনহীন দলকে বর্তমান সরকার নিশ্চিহ্ন করার চিন্তা থাকলে অনেক আগেই হয়ে যেতো। কিন্তু বর্তমান সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাই ছোটখাটো একটি দলকে নিয়ে তিনি চিন্তা করেন না, বরং এই বিএনপি অন্যের আন্দোলনে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে বর্তমান সরকারের পতনের স্বপ্নে বিভোর থাকে।

  2. Sabrin Tushi বলেছেন

    বিএনপিকে নিয়ে বর্তমানে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই, কারণ সরকার বর্তমানে দেশের স্বার্থে বিভোর হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করায় ব্যস্ত আছেন। কিন্তু বিএনপির নেতৃবৃন্দরা পড়ে আছেন বাংলাদেশের নতুন কোন দাঙ্গা সৃষ্টি করে, নিজেরা সাধু সেজে সরে গিয়ে সরকার পতন ঘটাতে। কিন্তু সরকার যখন সেই সাময়িক ইস্যুগুলো সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে সমাধান করে ছেলে, তখনই বিএনপি’র কিছু ঘুম পাগল নেতাকর্মীরা নিজেদেরকে জনপ্রিয়তায় ভরা দল মনে করে সরকার এর পিছনে লেগে থাকে।

  3. Riham Ahamed বলেছেন

    সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না কারণ বর্তমানে বিএনপি যেভাবে শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন এবং সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছে তাতে করে তাদের সাথে জনগণের বিশাল দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের সাথে তাদের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেই দূরত্ব এভাবে বজায় রাখা গেলেই জনগণ তাদেরকে আর কখনোই গ্রহণ করবে না। তাই বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে সেটি দেখে একটি জিনিস বলা যায় আর তা হল বিএনপিকে সরকারের থেকে কিছুই করতে হবে না কারণ বিএনপির বর্তমান যে অবস্থা তাতে বিএনপির নিজেরাই নিজেদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে।

  4. Fahim sultan বলেছেন

    সরকারের নামে এতগুলো মিথ্যাচার করার পরেও যেখানে আপনারা স্বাধীনভাবে চলতে পারছে তাহলে কি করে বলছেন সরকার আপনাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য কাজ করছে? আপনারা এই ধরনের কথাগুলো বলে জনগণকে বুঝাতে চাইছেন আপনারা অনেক নির্যাতিত হচ্ছেন। কিন্তু আপনাদেরকে কোন ভাবে নির্যাতন অথবা অত্যাচার করা হচ্ছে না। আপনারা জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার জন্য এ ধরনের কথা বলছেন।

  5. Afsar uddin বলেছেন

    বিরোধী দলে থেকে সরকারের বিরোধিতা করছেন সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু আপনারা যে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন সেটা কখনো দেশে জনগণ মেনে নিবে না। আর জনগণকে মিথ্যা বলে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর জন্য কিন্তু আপনারা জনগণের কাছে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছেন। সরকার থেকে আপনাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই আপনারা নিজেরাই নিজেদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।