সরকারের অনুমতি না পেয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীতে পূর্বঘোষিত মঙ্গলবারের সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
আজ সোমবার বিকালে জোটের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত ‘নাগরিক শোক র্যালি’ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়। ওইদিন বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতা-কর্মী কালো পতাকা হাতে নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় ফটক দিয়ে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা করে।
তবে কিছুদূর এগোতেই র্যালি করার অনুমতি নেই বলে ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের আটকে দেয় পুলিশ। ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা পুলিশি বাধা ভাঙার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার অনুমতি না দেয়ায় সমাবেশ স্থগিত করা হলো। ‘ভবিষ্যতে আমাদের আন্দোলন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্ট স্টিয়ারিং কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ড. কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরউল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।
কতো রঙ্গ জানোরে বন্ধু?এই নাকি খেলার ঢং।
বালের ফ্রন্ট!
ইতিহাস বলে অনুমতি নিয়ে আন্দোলন হয় না।
সমাবেশ করতে বুকের পাটা লাগে?ঐকফ্রন্ট সেটা নাই?
টায়ার পান্চারড্। হাওয়া নিকালগেয়া।
ঐক্যফ্রন্টের এই ধরনের চাপার জোরের রাজনীতি দেখলে মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই হেসে ফেলি। কারণ কিছুদিন আগে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছিল তারা অনুমতির তোয়াক্কা করবে না, তাই যেভাবে হোক তারা তাদের সমাবেশ করবে। তাদের কথার প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে অনুমতি না দেওয়ায় এখন তারা জনসমর্থনহীন সমাবেশ হবে সেই ভয়ে সমাবেশই স্থগিত করে দিল, বিষয়টা হাস্যকর।
ঐক্যফ্রন্ট যে এখন ভন্ড ফন্টে পরিণত হয়েছে সেটি বাংলাদেশের সাধারণ জনগন ভালো করেই বুঝতে পেরেছে। এই ঐক্যফ্রন্ট কিছুদিন পূর্বে বলেছিল তারা কোনো ধরনের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের অনুমতি না পেলেও অবশ্যই মহাসমাবেশ করবে। কিন্তু এরপরেও পুলিশের অনুমতি না পেয়েও তারা যেভাবে আন্দোলন স্থগিত করেছে তাতে বুঝতে পারছি এরা আসলে কি করতে পারবে। আবরারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ তাদের হয়েছিল সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়ে এখন তাই তারা তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করেছে সেটি বুঝতে আমাদের বাকি থাকেনা।
ঐক্যফ্রন্ট কিছুদিন পূর্বে বলেছিল সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না হয় তবুও তারা আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে থাকবে এবং অবশ্যই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে। কিন্তু যখন দেখল মানুষ আবরার হত্যাকাণ্ডের ইস্যুটি ভুলে গিয়েছে এবং এখন তারা ভোলায় যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নিয়ে মত্ত রয়েছে তখন ওই তখন তাদের সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আসলে তাদের যে এজেন্ডা ছিল সেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন তো হবেনা এই সমাবেশ থেকে সেটি বুঝতে পারার কারণেই এখন পুলিশের অনুমতি নেই বলে সমাবেশ করবে না এমনটা বলছেন তারা।
পারে ন কিছু কোরতে উঠে বসে বিয়্যান রাত্রে। চাপাবাজি দেওয়া নেতৃবৃন্দের দল।