অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাঙামাটিতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজস্থলী বাজার বন্ধ

0
.

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) দ্বীপময় তালুকদারকে (৪৫) অপহরণের পর গুলি করে এবং নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার সকালে উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের তাইতং পাড়ার জঙ্গলে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে তাৎক্ষনিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাঙামাটি জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে রাজস্থলী উপজেলা সদরে নিহতের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে অবিলম্বে দ্বীপময়কে হত্যার সাথে জড়িত পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে উপজেলাবাসী। এরআগ পর্যন্ত উপজেলা সদরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলেও সমাবেশ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

.

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাতটার দিয়ে দিকে দ্বীপময় তালুকদারের লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সকাল আটটার সময় তাঁর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। দ্বীপময় উপজেলায় ৩৩৩ নম্বর ঘিলাছড়ি মৌজার প্রধান ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ঠিকাদারি পেশার সাথেও জড়িত ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

.

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে দ্বীপময় উপজেলার তাইতং পাড়ার জিরোমাইল এলাকায় ঠিকাদারির কাজ দেখতে যান। সেখান থেকে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আজ সকালে অপহরণ হওয়ার স্থান থেকে এক কিলোমিটার দূরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফজল আহম্মেদ খান বলেন, দ্বীপময় তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে গতকাল দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দ্বীপময়কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর রাজস্থলী বাজারে উত্তেজনা চলছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে দ্বীপময়ের মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েই ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা, তার মাথায় গুলিও করা হয়েছে।

.

এদিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর সেটি নিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এই ঘটনার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস এর অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীরা জড়িত রয়েছে বলে পারিবারিক একটি সূত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবারিক ঐ সদস্য জানান, আমরা অপহরনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই রাতে জেএসএস এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং আমাদেরকে ধৈয্য ধরার পরামর্শ দিয়েছিলো। বর্তমানে রাজস্থলী উপজেলাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।