চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বান্ডেল রোড এলাকায় সংগঠিত জোড়া খুনের মামলার আসামী মো. সোলায়মানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে পৃথক ধারায় ওই আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী এই রায় দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দিন মত্যৃদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বান্ডেল রোডের ভবনের তৃতীয় তলার বাসায় নুরজাহান বেগম তার ছেলে ফারুক হোসেন ও গৃহপরিচারিকা পপিকে নিয়ে থাকতেন। ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট রাত সোয়া ১০ টার নগরীর ফয়সলেক এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে ছেলে ফারুক বাসার সামনের দরজায় বারবার কলিংবেল দিলেও কেউ দরজা খুলছেন না। তিনি পেছনদিকে গিয়ে বাসার আরেকটি দরজা খোলা দেখে সেই প্রবেশপথ দিয়ে বাসায় ঢোকেন। বাসায় ঢুকে লাইট জ্বালানোর পর তিনি মেঝেতে রক্তমাখা অবস্থায় তার মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ভেতরের আরেকটি কক্ষে গিয়ে দেখেন পপির রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে।
এসময় ফারুকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। তাদের ভাড়াটিয়া সঞ্জু তালুকদার নামে একজন এসময় ফারুককে জানান, ওইদিন বিকেল তিনটার দিকে পাঞ্জাবি পরিহিত বাবরি চুলওয়ালা একজন লোককে তাদের বাসায় বসে ভাত খেতে দেখেছেন।
ঘটনায় নিহত নুরজাহানের ছেলে ফারুক হোসেন অজ্ঞাতদের আসামি করে সিএমপির কোতোয়ালী মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা তদন্ত করে আসামী সনাক্ত করে হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।।
মো. সোলায়মান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালত আসামি সোলায়মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
১০ বছর যাবত মামলা চলার পর আজ এ মামলার রায় ঘোষনা করা হয়।