কোয়াবের পদত্যাগসহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে ক্রিকেটাররা
নিজেদের পুরোনো ১১ দফা বাড়িয়ে ১৩-তে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। গুলশানের একটি হোটেলে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
তিনি জানান বিসিবিকে ক্রিকেটারদের হয়ে তিনি ১৩টি দাবি একটি চিঠি আকারে দিয়েছেন। পরে জাতীয় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসলে সমস্যার সমাধান হবে।
সাকিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা সিদ্ধান্তগুলো সবাই মিলে নিয়েছিলাম, তাই এবারও একসঙ্গে নিতে হচ্ছে। আর সিদ্ধান্তগুলো সুন্দরভাবে জানাতে আমাদের এক-দুই দিন সময় লেগেছে। বিসিবি আমাদের ডেকেছে আমরা অবশ্যাই যাবো। আমরা অবশ্যই আলোচনা করবো। আলোচনায় বসলে সমস্যার সমধান হবে বলে আমি আশাবাদী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেউ কারও থেকে দূরে না। আসলে দুইটা পার্ট মিলেই বিসিবি। আর ব্যক্তিগত আক্রমণ করার আমাদের কারো ইচ্ছে নেই। বিসিবির প্রতি আমাদের রেসপেক্ট ছিল, এখনও আছে। প্রতিটা প্লেয়ারই চায় খেলতে, সুস্থ থাকতে এবং তাদের পরিবারকে সাপোর্ট করতে। যে কারণেই এই দাবিগুলো মাঝেমাঝে করা লাগে যেটা তারা করেছে।
দাবিগুলোর হলো-
১. কোয়াবের কোনও কার্যক্রম না থাকায় বর্তমান কমিটিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আগের মতো করতে হবে। নিজেদের মতো করে আয়োজন করতে হবে।
৩. এ বছর না হলেও পরের বছর থেকে আগের মতো বিপিএল আয়োজন করতে হবে। স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য বাড়াতে হবে।
৪. প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ফি ১ লাখ করতে হবে। গোটা বছর কোচ-ফিজিও দিতে হবে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রতি বিভাগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো মানের বল দিতে হবে। ডিএ ১৫০০ টাকায় কিছু হয় না, তাই বাড়াতে হবে। ট্রাভেলে বিমানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভালো মানের হোটেল হতে হবে।
৬. চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা ও বেতন বাড়াতে হবে।
৭. দেশি সব স্টাফের বেতন বাড়াতে হবে। কোচ থেকে গ্রাউন্ডস ও আম্পায়ার, সবার বেতন বাড়াতে হবে।
৮. ঘরোয়া ওয়ানডে বাড়াতে হবে। বিপিএলের আগে আরেকটি টি-টোয়েন্টির টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে হবে।
৯. ঘরোয়া ক্যালেন্ডার নির্দিষ্ট করতে হবে।
১০. বিপিএলের পাওনা টাকা সময়ের মধ্যে দিতে হবে।
১১. ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দুটোর বেশি খেলা যাবে না, এই নিয়ম তুলে দিতে হবে। সুযোগ থাকলে সবাই খেলবে।
১২. ক্রিকেটের ব্যবস্থপনায় আমরা স্বচ্ছতা চাই। এর একটা ভাগ আমরা চাই।
১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল ভালো করছে। নারীদের ক্ষেত্রেও তাদের ন্যায্য হিসাব দিতে হবে।