ফেনীর নুসরাত হত্যা : অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ আসামীর মৃত্যুদন্ড
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ১৬ আসামীকে ফাঁসির রায় দিয়েছে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক মো. মামুনুর রশিদ।।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ১৬ আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় সকল আসামীকে কারাগার থেকে আদালতে নেয়া হয়।
দন্ডিত ১৬ আসামি হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন। মাত্র ৬১ কার্যদিবসে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে।
চলতি বছরের ১০ জুন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালত। সেদিন থেকে মোট ৬১ কার্যদিবস চলে মামলার কার্যক্রম। এ সময়ের মধ্যে চলে ৮৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা।
৮ এপ্রিল তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান আট জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; যা মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে গেছেন। ১০ এপ্রিল ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুসরাতের মৃত্যু হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আসামিদের।
২৮ মে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) কর্মকর্তারা। সেদিন অভিযোগপত্রসহ মামলার নথি বিচারক ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠিয়ে দেন। এরপর ৩০ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আসামিদের হাজির করা হলেও বিচারক সেদিন অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানি না করে ১০ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
পরে ১০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অন্য পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে পিবিআই। আদালত তা অনুমোদন করেন। তারা হলেন- নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও শাহিদুল ইসলাম।
মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে ৭ জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসারা অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
gud shot…
মারহাবা !
আলহামদুল্লিলাহ
কিন্তুু কার্যকর দেখতে চাই
alhamdulillah
BAHHH
Alhamdulillah
দ্রুত কার্যকর চাই,,,
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ
Very good
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ বিচারবিভাগ ধন্যবাদ
ভাই চাঁদ দেখে খুশি হয়ে লাভ নেই রোজা ৩০ টা ! হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট এখনও বাকী । বিশ্বজিৎ এর মতো খালাশ হবার সম্ভাবনা আছে । তাই সর্বোচ্চ আদালতের জ্ঞানপাপীদের উপর নির্ভর করছে বিচার শেষ রায় । সব শেষ মহামান্য রাষ্ট্রপতি আছেন !!! যাইহোক রায় তাড়াতাড়ি কার্যকর হোক এই কামনা।
এম এম লিটন right
আলহামদুলিল্লাহ
ওরা যেন কোন বাবে ফাসি থেকে বাচতে নাপরে কোনদিন ফাসি হবে সেটা যানলে আরও খুসি লাগতো।
Churanto porinotir jonno Aro onekdin opekka korte hote pare!
Allhamdullah
অাপিলে জিতে ৬ মাস পর বেকসুর খালাস
এখন কি করবি তোরা একটা জান দিতে পারিছ না।তাহলে আর একটা জান কিভাবে নিস তোরা পিশাশের দল তোরা।
সবার বাচার অধিকার আছে।
এতো আলোচিত ঘটনা তার পরেও কতো মাস লেগে গেল রায় শুনাতে আর যদি অন্য কেস হতো আল্লায় জানে ১৬ জনকে ফাসি দিতে ১৬০০ বছর লাগতো
শুকরিয়া
Victim family should be given proper protection.
শিক্ষা ব্যবস্থা পরির্বতন করা দরকার
মাননীয় বিচারক কে অভিনন্দন
Police rai mul tader o fashi howa ushit.