অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নুসরাতের বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

0
.

ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায়ে ১৬ আসামীর সকলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন ফেনীর একটি আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।

এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নুসরাতের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত প্রতিদিন নিরাপত্তার কাজে তিনজন করে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান নুসরাত হত্যা রায়কে কেন্দ্র করে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নুসরাতের গ্রামের বাড়িতে ও সোনাগাজীতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা নজরদারিতে রাখবেন।

এ মামলায় গত ২০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২৭ জুন থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষ্য দেন।

প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ এনে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে নুসরাতকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিন তলার ছাদে নিয়ে যায় সিরাজ উদ দৌলার সহযোগীরা। সেখানে তারা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন নুসরাত।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।