অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রোহিঙ্গা ডাকাতের আস্তানার সন্ধানে পাহাড়ে র‌্যাবের ড্রোন

0
.

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের আস্তানার সন্ধান পেতে শরণার্থী শিবির সংলগ্ন পাহাড়ে ড্রোন দিয়ে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব।

আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়া টইংগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালায় র‌্যাব-১৫।

তবে ডাকাতদের কয়েকটি আস্তানায় অভিযান চালালেও র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, রোহিঙ্গা শিবিরকে ঘিরে রয়েছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ। ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাই, মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এদের মূলহোতা রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। তার মূল আস্তানা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়।

র‌্যাব জানিয়েছে, ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে থাকা ডাকাতরা রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জিম্মি করে প্রায়ই লুটপাট চালায়। এছাড়া ডাকাত দলের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রোহিঙ্গাদের বাসায় ঢুকে মালপত্র লুট ও অপহরণ করে। ক্যাম্পের ভেতর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়।

অভিযান শেষে উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, ‘এই পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম বাহিনীর অবস্থানের খবর রয়েছে। তারা পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়ে তুলে অপহরণ, খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করছে। হাকিম বাহিনীর গ্রুপকে ধরতে পাহাড়ে প্রাথমিকভাবে আমরা অভিযান পরিচালনা করলাম।’

তিনি বলেন, ‘এবার সর্ব প্রথম র‌্যাব হেড কোয়ার্টার থেকে ড্রোন এনে পাহাড়ে ড্রোন ওড়িয়ে তাদের আস্তানা খোঁজার চেষ্টা করেছি।’

কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীকে ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রয়োজনে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় র‌্যাব হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে।’

অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন, সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলম প্রমুখ।