অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার প্রশ্নে সবাইকে এক থাকার আহবান বিপ্লব বড়ুয়ার

0
.

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

তিনি শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মিজানুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সরোয়ার আমিন বাবু, কামাল উদ্দিন খোকন, এস এম রানা, ওমর ফারুক, ইফতেখার ফয়সাল, জয়া শর্মা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরাম, চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি বিপ্লব বড়ুয়াকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আমাদের সবাইকে এক থাকতে হবে। স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমাদের এক থাকতে হবে। সবাই যে আমার দল করবেন— সেটা আমি প্রত্যাশা করি না। আপনারা যে দলই করুন, যে মতাদর্শের হোন না কেন, আপনারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাত করবেন না। কোন ব্যক্তির হয়ে পক্ষপাত করবেন না। এতে আপনারা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

তিনি বলেন, আমি দেখেছি, অনেক বড় বড় সাংবাদিক দলের প্রতি অন্ধ হয়ে পড়েন। আমি যদি ভুল করি, আর ভুল থেকে যদি শিক্ষা গ্রহণ না করি, তাহলে আমি নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো না। আমার ভুল করার প্রক্রিয়াটা আপনাদের দেখিয়ে দিতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গণমাধ্যমে কাজের জায়গাটা আগের চেয়ে অনেক বড় হচ্ছে। আজকে অনলাইন পোর্টাল আছে দুই হাজারের উপরে, ৪০টি টিভি চ্যানেল রয়েছে, পত্রিকার সংখ্যা ১২ শতেরও বেশি। মিডিয়া যত বেশি হবে, ততোই সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার জায়গা অনেক বেশি তৈরি হবে। মিডিয়ার ভয়ে অনেকে অন্যায় করতে ভয় পায়।

উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অন্য মতকে হয়তো আমি পছন্দ করবো না। কিন্তু অন্যের মত শোনার মত সহনশীলতা আমার মধ্যে থাকতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা মেনে চলি। আপনারা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক, ঘনিষ্ট সম্পর্ক বজায় রাখবেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অন্য পেশার মানুষজন আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী হবে।

লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার সন্তান বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, গ্রামের প্রতি আমার টান রয়েছে। ঘরের মানুষ, পাড়ার মানুষের খোঁজখবর নিতে ও রাজনৈতিক কারণে গ্রামে যেতে হয় প্রায়ই। আমরা যে যেখানে আছি, আমরা যদি আমাদের পরিবার, সমাজ এবং আমাদের আশপাশের মানুষের প্রতি দায়িত্বটুকু পালন করি, তাহলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, অসম্ভব কিছু নয়। আমাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই বোধ, উপলব্ধি থেকে যদি আমাদের গ্রামে যেতে হবে। কারণ আমাদের শিকড় তো সেখানে।

সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সমস্যা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসব বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, এলাকার জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের নিয়ে আসা যায়। এর ফলে এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধান হবে বলেও মত দেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। -প্রেসবিজ্ঞপ্তি।