অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আন্দোলনের মুখে আহসানউল্লাহর ভিসির পদত্যাগ

0
.

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. কাজী শরিফুল আলম। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত এ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার অধ্যাপক মো. আমানউল্লাহ দায়িত্ব পালন করবেন।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখের বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুধু উপাচার্য পদত্যাগ করলেই হবে না। তাদের বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বসতে হবে। অন্যথায় তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী বিভিন্ন কর্মসূচিও চলবে।

গত সোমবার থেকে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থী বলেন, দাবি পূরণ না হলে ২ নভেম্বর (শনিবার) ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না। এছাড়া একাডেমি ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে- ভিসির জন্য যে ১০ জন সিনিয়র ফ্যাকাল্টিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেমিস্টার ফি বাবদ যে অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা কী খাতে ব্যয় হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। ক্লিয়ারেন্সে টাকা দেয়ার নতুন নিয়ম বাতিল ও ক্যারি ক্লিয়ারেন্সে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ৩ করতে হবে।

ইউনিভার্সিটিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনে সম্মতি দিতে হবে। সেমিস্টারে এস্টাবলিস্টমেন্ট এবং ডেভেলপমেন্ট ফি নেয়া হলেও তার সকল সুবিধা দেয়া হয় না, এ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ল্যাব সুবিধা, ক্লাসরুম উন্নয়ন, ওয়াশরুম সংস্কার, নিরাপত্তার জোরদার, ক্যান্টিনের খাবার ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, যাতায়াত ব্যবস্থা ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গঠনের অনুমতি দিতে হবে, যেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিত্ব করবে। নতুন করে একাডেমিক ক্যালেন্ডার বর্তমান সেমিস্টার রুটিনের আদলেই তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল কর্মকাণ্ড সহজ ও সাবলীল করার লক্ষ্যে সব ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে হবে।