অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জমিজমা লিখে দিতে বৃদ্ধ মাকে মারধর: তিন ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

0
.

জমিজমা লিখে নিতে মারধর করা হয়েছে। এই অভিযোগে তিন ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৭৬ বছর বয়সী গোলাপী দাসী ওরফে চন্দ্র রিশি। ঢাকার কেরানীগঞ্জে এ ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খানের আদালতে নারায়ন চন্দ্র দাসের স্ত্রী গোলাপী দাসী মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন বাদীর ছেলে প্রেম কুমার দাস (৫০), রাম কুমার দাস (৪৫) ও সুজন দাস (৩০)।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন

জবানবন্দি দেওয়ার সময় গোলাপী দাসী আদালতকে বলেন, ‘আসামিরা আমার ছেলে। গত ৩০ অক্টোবর আমার ছেলেরা আমাকে মারধর করে সম্পত্তি লিখে দিতে বলে। ঘরের সব জিনিসপত্র ভাংচুর করে টাকা নিয়ে যায় এবং হুমকি দেয়।’

মামলার অভিযোগ আরও বলা হয়, বাদী এবং তার স্বামীর নামে কেরানীগঞ্জ এলাকায় সাড়ে ৬ শতাংশ সম্পত্তি আছে। বাদীর স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় ছেলেরা তাদের ওই সম্পত্তি লিখে দিতে বলে। জমি লিখে না দেওয়ায় আসামিরা গত ১২ মে তাদের বাবাকে পিটিয়ে জখম করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জুলাই তিনি মারা যান। গর্ভজাত সন্তানদের সাজা হওয়ার ভয়ে বাদী আগে মামলা করেননি। বাদীর স্বামী মারা যাওয়ার পর ওই তিন আসামি বাদীর নামে থাকা সম্পত্তি লিখে দিতে বলে। না হলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

আরও বলা হয়, গত ৩০ অক্টোবর তার ছেলেরা গোলাপী দাসীকে মেরে ফেলার উদ্দেশে তার দুই হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে। আর সুজন দাস তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করে। এরপর আসামিরা বাদীকে মারধর ও নির্যাতন করে এবং তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। ঘরে থাকা ৮২ হাজার টাকা নিয়ে যায় আসামিরা।

বাদী মামলাতে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন করেন।

এ বিষয়ের বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন বলেন, আসামিরা এর আগে জমি লিখে নিতে তাদের বাবাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এখন আসামিরা তার মায়ের সাথে একই ধরনের আচরণ করছে। ছেলেদের সাজা হবে এ চিন্তায় তিনি সে সময় মামলা করেননি।