অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জিয়া হায়দার নাট্যপদক পাচ্ছেন মঞ্চাভিনেতা রবিউল আলম

0
.

প্রবীণ নাট্যকার, নির্দেশক ও মঞ্চাভিনেতা রবিউল আলম পাচ্ছেন গ্রুপ থিয়েটার নাট্যাধার প্রবর্তিত ১২তম জিয়া হায়দার নাট্যপদক। নাট্য চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে এই পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

পাঁচ দিনব্যাপী নাট্যাধার নাট্যপার্বণের তৃতীয় দিন আগামী ১০ নভেম্বর রবিবার বিকাল পাঁচটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের মূল মিলনায়তনে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হবে।

পদক তুলে দেবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থাকবেন প্রবীণ নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজি, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোসলেম উদ্দিন সিকদার লিটন ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু।

তির্যক নাট্য সম্প্রদায়ের অন্যতম উদ্যোক্তা নাট্যজন রবিউল আলম ১৯৪৬ সালের ৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা শেষে (১৯৬৫) জীবনের প্রথম নাটক (বর সংকট) লিখে হ্যাজাকের আলোয় তার মঞ্চায়ন করেন। জন্মস্থান বগুড়ার বারপুর গ্রামে। তবে নাটকের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন কর্মস্থল চট্টগ্রামে। অফিস পাড়ার নাটকের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন প্রথমে অভিনেতা (১৯৭২) ও পরে নাট্যকার (অখচ অন্ধকার ১৯৭৩) রূপে। তির্যক নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার (১৯৭৪) মাধ্যমে গ্রুপ থিয়েটার চর্চায় যুক্ত হন। তির্যকের প্রথম নাটক জননীর মৃত্যু চাই এর রচয়িতা

পদক প্রাপ্তির অনুভুতি জানাতে গিয়ে রবিউল আলম বলেন, ‘পদক পেতে সবারই ভালো লাগে। আমার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম কিছু নয়। অনেক বেশি আনন্দিত আমি। জিয়া হায়দারের নামে পদক পাওয়াটা ভাগ্যের বিষয়।’

উল্লেখ্য, নাট্য যুধিষ্ঠির খ্যাত জিয়া হায়দারের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশে একমাত্র নাট্যাধারই এই পদক দিয়ে থাকে। প্রথম জিয়া হায়দার নাট্যপদক-২০০৮ পেয়েছিলেন অঙ্গন থিয়েটার ইউনিটের প্রধান নাট্যাভিনেতা আবদুস সাত্তার। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালে ১১তম জিয়া হায়দার নাট্যপদক পেয়েছিলেন নাট্যজন মুনির হেলাল। ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পাঁচ দিন ব্যাপী নাট্যাধার নাট্যপার্বণ আগামী ৮ নভেম্বর থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে। – প্রেস