অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জাবি ভিসির দুর্নীতির প্রমাণ আজ মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে জমা দিবে আন্দোলনকারীরা

0
.

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) উপস্থাপন করবেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ মঞ্চের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত উপাচার্যের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত সংবাদ, টাকা ভাগ-বাটোয়ারায় যুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের স্বীকারোক্তিমূলক অডিও-ভিডিও ছাড়াও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলো রাজধানীতে গিয়ে উপস্থাপন করা হবে।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তের জন্য সেসব তথ্য-উপাত্ত যথেষ্ট বলে মনে করেন অধ্যাপক রায়হান রাইন।

এদিকে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গতকাল দিনভর বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের পর সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রতিবাদী কনসার্টের আয়োজন করেন তারা। কনসার্ট শেষে সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনের সংগঠক রাকিবুল ইসলাম রনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন দাবিভিত্তিক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলন কোনও ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত নয়। বরং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে দুর্নীতির যে কালিমা লেপন করা হয়েছে, তারই বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা একটি নৈতিক আন্দোলন। উপাচার্য এবং তার প্রশাসনের একের পর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত ও দমননীতিই বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের যে জিরো টলারেন্স অবস্থান, সেই অবস্থান থেকে সরকারের স্বতঃস্ফূর্ত হয়েই এই অভিযোগের বিষয় আমলে নেওয়া দরকার বলেই আমরা মনে করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বলতে চাই ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরবিরোধী আন্দোলন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন এবং সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনের ঐতিহ্যেরই ধারাবাহিকতা। হামলা-মামলা-হুমকিকে অগ্রাহ্য করে নৈতিকস্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত উপাচার্যকে অপসারণ এবং দুর্নীতিতে জড়িত সবার রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের এই আন্দোলন চলবে।’
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ১১টায় পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান, প্রতিবাদী পটচিত্র অঙ্কণ এবং তা পুরো ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করা হবে বলে জানান অধ্যাপক রায়হান রাইন।