অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাবরী মসজিদের রায় নিয়ে শুক্রবার হেফাজতের বিক্ষোভ

3
.

ভারতের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টর সাম্প্রদায়িক রায়ের প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার বাদজুমা রাজধানী ঢাকা, চটগ্রামসহ জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার সংবাদপত্রে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা. বা. ও মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাবরী মসজিদের জায়গা রাম মন্দির নির্মাণের রায়ে মুসলমানরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই রায়ে উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তি সৃংখলা বিপন্ন করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। মুসলমানদের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের নতুন করে দাঙ্গা সৃষ্টির রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। পাঁচ শতবৎসরের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের রায়ে বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে।

হেফাজত নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ভারতের প্রত্নতাত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী এখানে কোন হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণিত নয়। অথচ রাম জন্মভূমির কল্পিত দাবীকে কেন্দ্র করে মসজিদের জায়গাটি মন্দির নির্মাণের জন্যে দিয়ে দেয়া হলো। তারা বলেন, ১৫২৯ সালে নির্মিত প্রায় পাঁচশত বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদটি ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর উগ্রবাদী হিন্দুরা ভেঙ্গে ফেলে। মসজিদ ভাঙ্গার পরপরই ভারতে হাজার হাজার মুসলমানকেও হত্যা করা হয়। আজকে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্ট ভেঙ্গে ফেলা বাবরী মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় দিয়ে মুসলিম উম্মাহর সাথে হিন্দুস্তানের যুদ্ধ (গজওয়ায়ে হিন্দ) বাঁধানোর আনুষ্টানিক ঘোষণা করা হলো।

তারা বলেন, মুসলিম বিশ্ব ও সকল শান্তিকামী মানুষ মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণ কোনভাবই মেনে নেবেনা। মোদী সরকারের জেনে রাখা উচিৎ যে, আদালতের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে জোর করে রায় চাপিয়ে দেয়ার পরিণাম শুভ হবে না। মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় প্রতীকসমূহ রক্ষায় জীবনবাজি রেখে লড়াই করে যাবে। তবুও মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণ করতে দিবেনা। তাই আগামী শুক্রবার বাদজুমা বিক্ষোভ মিছিল সফল করার জন্য হেফাজত নেতৃদ্বয় ওলায়ে কেরাম এবং তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানান।

৩ মন্তব্য
  1. Md Balal বলেছেন

    সুযোগ সন্ধানি তেুলল সাহেব

  2. দূর্নীতিবাজ sultan বলেছেন

    যেই রায় বের হয়েছে সেটা আমাদের অনেকের ভালো লাগে নাই।কিন্তু বিষয়টা আমরা আবেগ দিয়ে দেখছি বলে হয়ত আমাদের চিন্তাধারা এমন কাজ করছে।তাছাড়া এই মামলার রায় নিয়ে ভারতের থেকে বেশি বাংলাদেশে প্রভাব পরছে বলে আমার মনে হয়।তাই আমাদের উচিত এই মামলা নিয়ে যাতে আমাদের দেশে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই দিকে কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।আমাদের দেশের অসম্প্রদায়িক চেতনা নষ্ট হয়ে যাক সেটা কিন্তু একজন বাঙালী হিসেবে মেনে নিতে পারবো না।

  3. Afsar uddin বলেছেন

    অনেক জায়গায় দেখছি ভারতের এমন রায় দেওয়ার পর আমাদের দেশের অনেক লোক মন্দির আক্রমণের কথা বলছে অর্থাৎ মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ আমাদের দেশে তৈরি করা হোক এমন কথা বলছে।এটা কিন্তু কখনো মেনে নেওয়ার মত কথা না।অতীতেও আমরা দেখেছি ভারতের বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে যেটা মনে পরলে এখন আমরা শিহরিত হয়ে উঠি।তাই আমাদের দেশের অন্য ধর্মের মানুষদের যাতে কোন প্রকার কষ্ট না হয় আমদের সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।