“মানববন্ধন ও চার দেয়ালের ভীতর কর্মসূচী পালন করে নেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব নয়”- নোমান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। মানববন্ধন এবং চার দেয়ালের মধ্যে কর্মসূচী পালন করে নেত্রীকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। বিএনপি স্থায়ী কমিটির উচিত দীর্ঘ সময় বসে আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করে কর্মসূচী ঘোষণা করা। সঠিক রণকৌশল ঠিক করে কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরাম্বিত হবে।
তিনি আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এবং সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
নোমান বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, রাজনীতি করলে নিজ দলের আদর্শ ও লক্ষকে মেনে চলে কাজ করতে হবে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নিয়ে এগিয়ে গেলে বিএনপি আন্দোলনে সফল হবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সাদেক হোসেন খোকা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, আবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও আপোষহীন নেতা ছিলেন। সাদেক হোসেন খোকার মধ্যে ছিল মাওলানা ভাসানী এবং শহীদ জিয়ার আদর্শ। সেই আদর্শকে তিনি সঠিকভাবে ধারণ করতে পেরেছিলেন বলেই তিনি রাজনৈতিক জীবনে সফল হয়েছেন।
নোমান আরো বলেন, জীবিত থাকা অবস্থায় সাদেক হোসেন খোকাকে দেশে আসতে বাধা দিয়ে সরকার জনগণের কাছে ছোট হয়েছে, আর সাদেক হোসেন খোকা মানুষের হ্নদয়ে স্থান করে নিয়েছে। তাঁর বিশাল জানাযা এটাই প্রমাণ।
মহানগর মুক্তিযোদ্ধাদলের সভাপতি হাজী হোসেন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম. নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধাদলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপিনেতা এডভোকেট বদরুল আনোয়ার, একরামুল করিম, ড.সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম.এ. সবুর, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এস.কে. খোদা তোতন,আশরাফ চৌধুরী, যুগ্ন-সম্পাদক কাজী বেলাল, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, এডভোকেট নাজিম উদ্দিন, সাংগাঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলনেতা ফয়জুল ইসলাম, জানে আলম, হাজী মোহাম্মদ আলম, ডাঃ এস.এম. সাদেক, মিজানুর রহমান মোস্তফা ও গিয়াস উদ্দিন সম্রাট প্রমূখ।
নোমান সাহেব আপনারা আপনাদের নেত্রীকে নিয়ে যতই কিছূ বলেন না কেন দেশের জনগন অনেক শান্তিতে আছে যে খালেদার মত দুর্নীতিবাজ মহিলা জেলে আছে । খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা কালে দেশের মধ্যে দুর্নীতি করেছে, দেশের মানুষের টাকা চোরি করেছে। তার শাস্থি তাকে ভোগ করতে হবেই । অপরাধ করার সময় কি মনে ছিল না । এর শাস্থি কি হতে পারে ।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে কতটা নির্দোষ আর কতটা দোষী সেটা বাংলাদেশের জনগণ খুব ভালো করেই জানে
আপনারা যতই কর্মসূচি ডেকে বেড়ান না কেন আপনাদের নেত্রীকে শাস্তি পাওয়া ছারা মুক্ত করতে পারবেন না । কারণ দেশের সকল অপরাধীদের জন্যে আইন সমান । আর খালেদাকেও তার অপরাধের শাস্তি পেতেই হবে । দেশের জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে যতেদিন ক্ষমা না করছে কতদিন পর্যন্ত সে ক্ষমা পাবে না। আমরা সকলেই চাই বেগম খালেদা জিয়ার কঠিন শাস্তি হোক ।
আপনারা এটাই করতে পারবেন। এটা ছাড়া আপনাদের কাছ থেকে আর কিছু করতে পারবে না কেউ। কারন আপনাদের মধ্যে কোন প্রকার ঐক্য নাই। শুধুমাত্র নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা আপনারা নিজেদের ক্ষতি করছে আর তার দোষ সম্পূর্ণরূপে সরকারের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। তাই বলছি সরকারের নামে মিথ্যাচার না করে স্বীকার করুন যে আপনাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়া জেলে থাকা দু’বছর পরে কি আপনারা এই কথাটি বুঝতে পেরেছেন? যদি বুঝে থাকেন তাহলে এটাও বুঝে নেন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা আপনাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ আপনাদের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কোন প্রকার আগ্রহ নেই। শুধুমাত্র কিভাবে সরকারের নামে মিথ্যাচার করে নিজেরা ক্ষমতায় বসবেন সেটাই হলো আপনাদের মূল উদ্দেশ্য এবং চিন্তাধারার নিয়ে আপনারা কখনো খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবেন না।