অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৩৭ হাজার কেজি কসমেটিকস সামগ্রী জব্দ

0
.

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিশাল এক কসমেটিকস সামগ্রীর চালান জব্দ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কায়িক পরীক্ষা শেষে চালানটি আটক করে। কন্টেইনার খুলে প্রায় ৩৭ হাজার কেজি বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলেন, ঢাকার চম্পাটলি লেইনের আমদানিকারক অনলি ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল চীন থেকে ২৩ হাজার কেজি পানির পাম্প আমদানির ঘোষণা দেয়। চালানটি খালাসের জন্য গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি জমা দেয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। শুল্কও পরিশোধ করে। তার আগেই কাস্টমস গোয়েন্দার

পানির পাম্পের পরিবর্তে কসমেটিকস আনার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এ.আই.আর শাখার অভিযানে উক্ত পণ্য চালানটি  করা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ও উপ কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চালানটিতে মোট এক কোটি ৩০ লাখ টাকার শুল্কফাঁকি ছিল। চালানটির আমদানিকারক ঢাকার অনলি ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল, আর পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট উজালা শিপিং লাইনস।

বন্দর সুত্র জানায়, কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষার পর চালানটিতে পানির পাম্প পাওয়া যায় মাত্র ২০২ কেজি; অথচ ঘোষণা দিয়েছিল ২৩ হাজার কেজি। তবে কন্টেইনার খোলার পর একে একে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন ধরন ও ব্রান্ডের কসমেটিকস সামগ্রী।

নুর উদ্দিন মিলন বলেন, গোপণ তথ্যের ভিত্তিতে চালানটি আটক করি। পরে কন্টেইনার খুলে প্রায় ৩৭ হাজার কেজি বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস পাওয়া যায়। এতে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি হয়েছিল।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায় বিল অব এন্ট্রি নং ১৭০৭১২০ তারিখ ০৫/১১/২০১৯ এর মাধ্যমে আমদানিকারক অনলি ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল, 6/3-B,চম্পাটলি লেইন,ঢাকা,বিন নং-০০০৭৮৯১৯৮,সিএন্ডএফ এজেন্ট উজালা শিপিং লাইন্স লিমিটেড, খাতুনগঞ্জ,চট্টগ্রাম, এ.আই.এনঃ৩০১৮২১৩৬৯,চায়না থেকে ২৩০০০.০০কেজি (২০০০পিস) পানির পাম্পের পরিবর্তে মিথ্যা ঘোষণায় হেয়ার জেল,সাবান,শ্যাম্পু, হেয়ার ওয়েল,ফেইস ওয়াশ,প্লেয়িং কার্ড,টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ, বডি ওয়াশ প্রভৃতি কসমেটিকস সামগ্রী আমদানি করে।এ.আই.আর শাখার শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় মোট ৩৬,৯৬৫কেজি কসমেটিকস সামগ্রী এবং ২০২কেজি(৪৮পিস) পানির পাম্প পাওয়া যায়।

এখানে সম্ভাব্য রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ১,২৯,৭৩,০০০টাকা। কাস্টমস আইন অনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।