অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“কিং অব চিটাগাং হয়ে উঠে যেন একখন্ড সীতাকুণ্ড”

0
.

কামরুল ইসলাম দুলুঃ

বর্ণাঢ্য আয়োজন, বর্ণিল উৎসব, জাঁকজমক অনুষ্ঠান আর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান  খাওয়ার মধ্যদিয়ে পালিত হল সীতাকুণ্ড সমিতি- চট্টগ্রাম এর একযুগ পূর্তি অনুষ্ঠান।

সংগঠনের এ গৌরবময় দিনটিকে ঘিরে শহরের পাচঁলাইশস্থ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত “দি কিং অব চিটাগাং ক্লাব যেন হয়ে উঠে একখণ্ড সীতাকুণ্ড”।

.

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর-২০১৯) বর্ণাঢ্য এ যুগপূর্তির উৎসবে সীতাকুণ্ডের সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক মানুষ শরিক হন। প্রতিবছরের মতো এবারও দু’শতাধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী সংবর্ধিত হয়। সমাজের বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের জন্যে সীতাকুণ্ড সমিতি-চট্টগ্রাম পদক-২০১৯ ইং ২২ গুণিজনকে সংবর্ধনা ও ৬ জনকে স্মারক দেওয়া হয়।

.

পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জীবনী ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে ভিন্ন একটি পুস্তিকা। বিকাল ৪ টার পর থেকে বিশাল হলরুম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত সীতাকুণ্ডের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ বনিতা একই ছাদের নিছে এসে যেন কয়েক ঘন্টার জন্য ভুলে যান সকল দূঃখ, কষ্ট। সেলফি, আড্ডাবাজি আর খোঁশ গল্পে সবাই কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যান অন্য জগতে।

.

সংগঠনের যুুুুগ্ন সম্পাদক আবেদীন আল মামুনের সঞ্চালনায় এবং ড.মো.ফসিউল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত মিলনমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানর মাষ্টার আবুল কাসেম, জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শামীম সোহেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম।

.

স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি আবুল মুনছুর ভূইয়া, দিদারুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক একে এম তফাজ্জল হক, সাবেক সভাপতি ও অনুষ্ঠান উৎযাপন কমিটির আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন।

.

পদক প্রাপ্তদের পক্ষ থেকে অনুভতি প্রকাশ করেন টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মুসলিম উদ্দিন, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার। দুই পর্বের আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মধ্যরাতে এক যুগপূর্তি উৎসবের সফল সমাপ্তি ঘটে।