অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মহেশখালীতে শনিবার আত্মসমর্পণ করবে শতাধিক অস্ত্রধারী জলদস্যূ

0
.

কক্সবাজারে মহেশখালীতে শতাধিক জলদস্যু, সন্ত্রাসী ও অস্ত্র তৈরীর কারিগর সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে নিজেদের অস্ত্র জমা দেয়ার মাধ্যমে আত্মসমপর্ণ করতে যাচ্ছেন।

আগামী ২৩ নভেম্বর শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছেড়ে দেয়ার অঙিকার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন।

উপজেলার কালারমার ছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান।

.

একটি বেসরকারী টেলিভিশনের একজন সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় এসব সন্ত্রাসী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আত্মসমপর্ণ করতে সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সুত্র জানায়, কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বেশী অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত এই মহেশখালী উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়ন। খুন, রাহাজানি, দস্যূতা, অপহরণ সহ সব জগন্য অপরাধকর্ম সংগঠিত হওয়া কালারমারছরার জন্য একেবারে নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার।

র‌্যাবের বিভিন্ন টিম ইতোপূর্বে মহেশখালীর এসব দুর্গম এলাকায় অসংখ্যবার অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরীর কারাখানা অবিস্কার অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী জলদস্যূদের গ্রেফতার করেছে। এবার সন্ত্রাসীরা নিজেরা এসব অপকর্ম ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে।

মধ্যস্থতাকারী প্রাইভেট টিভি চ্যানেল আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম.এম আকরাম হোসাইন জানিয়েছেন, মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কূখ্যাত বেশ ক’টি জলদস্যু বাহিনীর সর্দার ও বাহিনীর সদস্যরা এদিন স্বদলবলে আত্মসমর্পণ করবেন। আত্মসমর্পণ করতে মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসার সংখ্যা আপাতত প্রায় একশো মতো হলেও এ সংখ্যা আগামীকাল-পরশু’র মধ্যে আরো বাড়তে পারে। কারণ আত্মসমর্পণে আগ্রহী অনেক জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারনের অপেক্ষায় ছিলো। এখন তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় অপেক্ষায় থাকা এরকম আগ্রহীরা মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করছে।

.

জানাগেছে, এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি, পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, স্থানীয় অন্যান্য সংসদ সদস্যগণ, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি সহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতারা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

আত্মসমর্পণকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাদেরকে প্রনোদনা দেওয়া হবে বলে জানাগেছে। তাদের বিরুদ্ধে আত্মসমর্পণের পর অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তবে এ মামলা থেকে আত্মসমর্পণকারীরা সহজে মুক্তি পেতে মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্র পক্ষ তাদেরকে সহযোগিতা করবে।