অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

টাইগাদের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ইংল্যান্ড

3
tiger
.

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও জয় হাতছাড়া হয়েছিল টাইগারদের। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এসে শেষ পর্যন্ত সে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বেশ বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার(০৯ অক্টোবর) ৩৪ রানের বড় জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে মাশরাফিরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছে ২৩৮ রান। জয়ের জন্যে ২৩৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত ২০৪ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। ফলে ৩৪ রানে জয় পায় টাইগারা।

ব্যাটে বলে মিলিয়ে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে এদিনের জয়ের নায়ক বনে গেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২৯ বলে ব্যাক্তিগত ৪৪ রান আর বাংলাদেশ ইনিংসসেরা ৮.৪ ওভার বল করে ২৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হয়েছেন অনন্য মাশরাফি।

ইংলিশদের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এর মধ্যে রয়েছেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জেমস ভেনিস। আর রয়েছেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বেন স্টোকস।

দলীয় ১২ রানের সময় ইংল্যান্ড শিবিরে প্রথম হানা দেন মাশরাফি। ৫ রান করা ওপেনার জেমস ভেনিসকে ক্যাচ আউট করে সাজঘরেমুখি করেন তিনি। ব্যাকওয়াট পয়েন্ট থেকে ক্যাচটি ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর ইংলিশদের দলীয় ১৪ রনের সময় হানা দেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বোল্ড করে তুলে নেন বেন ডাকেটের উইকেটটি। ক্রিজে ঠিকঠাক দাড়ানোর আগে তাকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন সাকিব।
দলীয় ২৪ রানের সময় আবারও ইংলিশদের শিবিরে হানা দেন মাশরাফি। ১৩ রান করা ওপেনার জেসন রয়কে এলবিডাব্লিউ করে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। এর পরপরই দলীয় ২৬ রানের সময় বেন স্টোকসকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেটটি তুলে নেন মাশরাফি।

এরপর দীর্ঘক্ষণ উইকেট খরায় থাকা টাইগারেদের উইকেট খরা কাটান পেসার তাসকিন আহমেদ। কট এন্ড বোল্ড করে ফেরত পাঠান ৩৫ রান করা জনাথন বায়ারসটোকে। এর পরই ইংলিশ শিবিরে হানা দেন আলোচিত নাসির। তুলে সদ্য যোগ দিয়ে ৪ রান করা মঈন আলীকে। অবশ্য এর জন্যে পুরো কৃতিত্বটাই দিতে হয় সাকিবকে। ফিল্ডিং পজিশন থেকে পেছনে গিয়ে অফ মিডউইকেট থেকে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন সাকিব। এর কিছুক্ষণ পরই হাফসেঞ্চুরি করা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে এলবিডাব্লিউ করে ফেরত পাঠান তাসকিন। যদিও প্রথমে এ আউটটি দেননি আম্পায়ার, তারপরও রিভিউয়ের মাধ্যমেই ইংলিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করা বাটলারকে ফেরত যেতে হয় সাজঘরে।

ক্রিস ওয়াকসের উইকেটটি তুলে নিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট ঝুলিতে পোরেন তাসকিন। ৫ রান করা ওয়াকসের ক্যাচটি ধরেন মুশফিক। শেষ সময়ে ইংল্যান্ড ভাসিয়ে রাখা ডেভিড ওয়েলি ৯ রানে ফিরিয়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

৩ মন্তব্য
  1. Abu Saleh Rasel বলেছেন

    প্রশংসাটা একটু বেশী হয়ে গেলো!!! 😀

  2. Kazi Zahed Imam বলেছেন

    আরও বড় ব্যবধানে জয় পেত যদি খেলার মধ্যে আর একটু সিরিয়াসনেস থাকতো। এরপরও জয় হয়েছে এটাই বড় পাওনা । ধন্যবাদ টাইগারদের।

  3. Saiful Islam Shilpi বলেছেন

    প্রশংসাটা বেশি করতে হয়, সমালোচনা কম। কিন্তু আমরা সবসময় সমালোচনাটা বেশি করি। খেলাতে হারজিৎ আছে এটা আমরা মানতেই চাই না। তাই হারলেই যত সমালোচনার ঝড় উঠাই..। Rasel ভাই।