অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের স্বীকৃতি: নেপালের ইসিমোড পুরস্কার পাচ্ছে উন্নয়ন বোর্ড

0
.

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের একদশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসবাসরত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির ভাগ্যোন্নয়নে পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা সহায়তা সম্প্রসারণ, কৃষি উন্নয়নে সহায়তা প্রদান, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিকরণ, সামাজিক সুবিধা বৃদ্ধিতে সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নতি সাধন, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশু কল্যাণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং দাপ্তরিক সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন ও উন্নতিকরনের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে নানামুখি প্রকল্প বাস্তবায়নকারি প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’কে প্রথমবারের মতো বিদেশী পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা-এনডিসি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টের টাইমলাইনে প্রদত্ত ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন।

চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, পর্বত ও পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে অসাধারন ভূমিকা রাখায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে ‘ইসিমোড পর্বত পুরষ্কার-২০১৯’এ ভূষিত করেছে ‘সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্তর্জাতিক সংস্থা’(ইসিমোড)। মঙ্গলবার বিকালে নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ঔ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে উচ্ছাস প্রকাশ করে লিখেছেন আগামী ৫ই ডিসেম্বর ইসিমোড সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে এই পুরষ্কার প্রদান করা হবে।

তৎকালীন ব্রিটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য তেমন কোন কাজ বন্ধ হয়নি। ফলশ্রুতিতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল অবহেলিত ও পশ্চাৎপদ থেকে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চাৎপদ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র বোর্ড গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবাত ৯ আগস্ট ১৯৭৩ খ্রী: তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা সফরকালে রাঙামাটি সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে এক সুধী সমাবেশে এ এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে একটি পৃথক বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানান।

তারই ধারবাহিকতায় ১৯৭৬ সালের ১৪ জানুয়ারি ৭৭নং অধ্যাদেশ বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের কার্যক্রমকে অধিকতর টেকসই, গতিশীল ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্র্ড আইন-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়। যা একটি সুদূরপ্রসারী ও সময়োপযোগি পদক্ষেপ। বর্তমানে এ আইনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা-এনডিসি, বর্তমান দায়িত্বে থাকার আগে প্রথমবার সচিব, পরের বার সচিব থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

পার্বত্যাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা সহায়তা সম্প্রসারণ, কৃষি উন্নয়নে সহায়তা প্রদান, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিকরণ; সামাজিক সুবিধা বৃদ্ধিতে সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নতি সাধন; টেকসই সামাজিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশু কল্যাণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং দাপ্তরিক সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন ও উন্নতিকরনের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন প্রকল্প কাজ বাস্তবায়ন করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।