বোয়ালখালীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের গাড়ীবহরে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাংচুর ঘটনার সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিএনপি। আজ ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোস্তাক আহমদ খান, বোয়ালীখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু।
সংবাদ সম্মেলনে আবু সুফিয়ান জানান, বোয়ালখালীতে হামলার ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/ ২৫ জন সন্ত্রাসী এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা ও নির্যাতনের যে মহোৎসব আওয়ামীলীগ শুরু করেছে গতকালের ঘটনা ছিল তারই ছোট্ট একটি উদাহরণ।
তিনি বলেন, আসন্ন চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে, মানুষের উপর আতংক সৃষ্টি করার জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর পর বোয়ালখালীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুকে ফোন করে হুমকী প্রদান করে। সন্ত্রাসীরা হুমকী দিয়ে বলে, আগামীতে বোয়ালখালীতে আসতে হলে ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। শেষবারের মত সতর্ক করে দিলাম।
বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। মানুষের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে উল্লেখ করে আবু সুফিয়ান বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সরকার বিএনপিকে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করারও সুযোগ দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আমাদের চাওয়া, একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসুক, যাতে মানুষ স্বচ্ছন্দে নির্বিঘ্ন ও নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। একটি ভয়মুক্ত পরিবেশ ফিরে আসুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আগামীত চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে পারে এই পরিবেশ ফিরে আসুক।
তিনি বলেন, আজকে জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মত আর একটি নির্বাচন করতে চায়। আমরা সংঘাতের রাজনীতি চায় না। কারো সাথে সাপে নেওলে সম্পর্ক চায় না। আমরা চায় একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ। তিনি জানান, শুক্রবারের এই হামলার ঘটনার বিষয়ে বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমরা আশা করবো প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিবেন।
এ সময় বোয়ালীখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, শুক্রবার রাতে আমার গাড়ীতে করে আবু সুফিয়ানসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে চরণদ্বীপের ইউনিয়ন বিএনপির নেতা কামালা উদ্দিনের আত্মীয়ের জানাজা শেষে শহরে ফেরার পথে ২নং ওয়ার্ডের পাঠানবাড়ী স্কুলের সামনে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০/ ২৫ জন সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে আমাদের মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, এনামুল হক এনাম, মোশাররফ হোসেন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী প্রমুখ।