অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে- ডাঃ শাহাদাত 

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। সেজন্য তাকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার।

তিনি আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

শাহাদাত বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার শুরু থেকে সাধারণ মানুষ যে সুযোগ সুবিধা পান, তাকে সে সুযোগ সুবিধাও দেয়া হয় না। এ ধরনের মামলায় সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে সরকার পদে পদে বাঁধা দিচ্ছে। তার জামিন না দেয়াটা অমানবিক। বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন না করার বিষয়ে তিনি বলেন, রিপোর্ট চূড়ান্ত হলেও সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে এটা বন্ধ রেখেছে। বিএসএমইউ কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট না দেয়া আদালত অবমাননার শামিল।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার চান না দেশনেত্রীর মুক্তি হউক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে বেগম খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন বলে বিএসএমইউ কর্তৃপক্ষকে ভয় দেখিয়েছেন। এটা ফ্যাসিবাদী শাসনের একটি রূপ। তার চিকিৎসা না হওয়ার দায়দায়িত্ব সরকার প্রধানকেই বহন করতে হবে। 

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ভেঙ্গে দিয়ে তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা মানুষকে সুশাসন থেকে বঞ্চিত করছে। সরকারের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যেটাকে ঢাকার জন্য নিজেদের চুনোপুঁটিকে ধরতে হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ একটি ফ্যাসিষ্ট সরকার। এদের থেকে মুক্তি পেতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে, মানুষের অধিকারগুলোকে ছিনিয়ে আনতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, শফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবু ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, সামশুল আলম, শাহ আলম, জহির আহমদ, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌ:, আব্বাস রশিদ, হামিদ হোসেন, হেলাল চৌধুরী, হাজী নুরুর আকতার, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, হাজী হানিফ সওদাগর, ডা. নুরুল আবচার, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. সেলিম, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, রেহান উদ্দিন প্রধান, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, মো. শাহাব উদ্দিন, হাজী জাহিদ হাসান, হাবিবুর রহমান, আবদুল কাদের জসিম, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, জাহাঙ্গির আলম, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, জাকির হোসেন, আইয়ুব খান, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, আঁখি সুলতানা, আতিয়া আকতার উষা, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, এড. আবদুল আজিজ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান প্রমুখ।