গুমট আবহাওয়া খেলা নিয়ে সংশয়
এই মূহর্তে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি চট্টগ্রামে। আকাশের কারো মেঘের ঘনঘটা। চলছে জহুর আহমদ স্টেডিয়ামে মাঠ পরিচর্যার কাজ। সকাল সাড়ে ১১ টার পর বৃষ্টি কিছুটা কমে আসার পর খেলা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকরা।
দুপুর ১.১৫ টায় ম্যাচ রেফারিসহ আম্পায়ার আলিমদারকে দেখা গেছে মাঠ পরির্দশন করতে।
এ অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে হয়তো খেলা শুরুর একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি কমলেও বাতাসে কিছুটা আদ্রতা রয়েছে।
এদিকে স্টেডিয়ামের বাইরে বিপুল পরিমাণে দর্শককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটির ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম জানান,আরো মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে ৩ নং সতর্ক সংকেত।
এ অবস্থায় ফাইনাল ম্যাচটি হবে কি হবেনা এ নিয়ে অনেকটা সংশয় দেখা দিয়েছে। দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলের জয় সমান হওয়ায় তৃতীয় ম্যাচেই নির্ধারণ হবে কাপটা কি মাশরাফির হাতে উঠবে, না বাটলারের ! তবে বৃষ্টি হয়তো চাচ্ছে কাপটা দু’দলের অধিনায়কের হাতেই উঠুক।
এদিকে ক্রিকেট মোদিরা চাচ্ছেন বৃষ্টি থেমে যদি কড়া রোদ উঠে, সে ক্ষেত্রে ম্যাচ হওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হতে পারে। দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হওয়ার কথা ম্যাচ।
টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জেতা বাংলাদেশের এ ম্যাচ নিয়ে দেশের অগণিত ক্রিকেট-আমুদে মানুষের মধ্যেও বিশাল উত্তেজনা। তাদের দুরবিন-দৃষ্টি এখন চট্টগ্রামে। টান টান হয়ে সময় গুনছে সবাই কী হয়, কী হয়!
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরে কর্মরত আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে এই বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ভাইয়া, খেলা চলতেছে