অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বেড়িবাঁধে ঘর হারানো সখিনা পেলেন পাকা ঘর

0
.

জিয়া চৌধুরী, হাটহাজারী, প্রতিনিধিঃ

হালদা নদীর বেড়িবাঁধ তৈরীর সময় ঘর হারানো বৃদ্ধা সখিনা বেগম (৬৪) অবশেষে ঘর ফিরে পেলেন। তাও আবার পাকা ঘর। সরকারের টিআর কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে তাঁকে পাকা ঘর তৈরী করে দিলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন।

আজ বুধবার বৃদ্ধা সখিনা বেগমকে তাঁর ঘরটি হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, চট্টগ্রামের হালদা নদীর হাটহাজারী অংশে নির্মান করা হয়েছে উচুঁ বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধ নির্মানের সময় অনেকের জমি ও ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গুমানমর্দন ইউনিয়নের বৃদ্ধা সখিনা বেগমের ঘরও ঐ বেড়িবাঁধের নিচে চাপা পড়ে। মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র ঘরটি হারিয়ে পাগলপারা হয়ে পড়েন বৃদ্ধা সখিনা বেগম।

ইউএনও রুহুল আমীন জানান, গত জুন মাসে সখিনা বেগমের সাথে আমার দেখা হয়েছিল হালদার তীরের বেড়িবাঁধের উপর। আমাকে দেখে প্রায় দৌড়ে এসে তিনি জানান, তার একমাত্র ঘরটি বেড়িবাঁধের নিচে চলে গেছে। তখন হাটহাজারী উপজেলায় একটা মাত্র দুর্যোগ সহনীয় ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল। বৃদ্ধা সখিনা বেগমের জন্য সেই ঘরটি বরাদ্দ করতে গিয়ে জানা গেল তার কোন জমিই নাই। পরে গুমানমর্দন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান একজন ভূমি মালিকের কাছ থেকে জমির ব্যবস্থা করে দেন। সেই জমিতে টিআর কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে তাঁকে পাকা ঘর করে দেয়া হয়।

ঘর হস্তান্তরের সময় আবেগাপ্লুত হয়ে বৃদ্ধা সখিনা বেগম বলেন, ঘর হারিয়ে এই বয়সে সামান্য একটু মাথা গোজার ঠাই চেয়েছিলাম। অথচ সরকার আমাকে কি সুন্দর একটা বাড়ি করে দিল। তিনি এসময় সরকার ও ইউএনওকে প্রাণ ভরে দোয়া করেন।