অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ায় দেশবাসী হতাশ ও ক্ষুব্ধ- ডাঃ শাহাদাত

0
.

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের আদেশের পরপরই বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নেতাকর্মীরা।

নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি ও অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার জামিন থেকেই বঞ্চিত করছে না, বরং শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ একজন বয়স্কা নারীকে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করছেন। আজকে জনগণের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল আদালত বেগম জিয়াকে জামিন না দিয়ে জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সরকারের হস্তক্ষেপেই আদালত তা খারিজ করলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই আদেশের মাধ্যমে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হলো। আজকের এই রায়ে প্রমাণিত হয়েছে বিচার বিভাগ সরকারের আদেশে পরিচালিত হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশে দেশের মানুষ হতাশ এবং বাকরুদ্ধ। তিনি বলেন, এখন আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সকল বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সা¤প্রতিক হিংসাত্মক বক্তব্যের উদ্দেশ্যই ছিল বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দিতে বিচার বিভাগ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করা। দেশবাসী আশা করেছিলো সরকারের সকল হুমকি উপেক্ষা করে আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। কিন্তু এখন দেশে চলছে এক ব্যক্তির কর্তৃত্ববাদী শাসন। আর সেই কারণেই বিরোধী দল ও মতের ওপর চলছে অবর্ণনীয় নানামুখী নির্যাতন। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার কারামুক্তিতে এখন রাজপথই আমাদের একমাত্র সমাধান। তাই জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নইলে জনরোষের থাবা থেকে রেহাই পাবে না বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, আর. ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, বাণিজ্য সম্পাদক হেলাল চৌধুরী, নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, আবু মুসা, শফিক আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, আলী আজম, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর আলম, শরীফুল ইসলাম, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. এমরান, হাসান ওসমান চৌধুরী, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনিরুজ্জামান টিটু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, মনিরুজ্জামান মুরাদ, আবদুল জলিল, গোলজার বেগম, রাজন খান, মো. সালাহ উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।