অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“পেতে হলে সুস্থ জীবন-রুখতে হবে বায়ু দুষণ” এর দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন

0
.

চট্টগ্রামকে বসবাসযোগ্য, ক্লিন ও গ্রীণ সিটিতে পরিনত করতে বায়ু দুষণ কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (১২ ডিসেম্বর) নগরীর জামালখানস্থ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রাম ও আমেরিকান কর্নারের যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় বক্তারা বলেন- ঢাকা বর্তমানে পৃথিবীতে বসবাসের অযোগ্য নগরীর ৩নং স্থানে আছে। ঢাকার পরে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কো ও নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোস। ঢাকার মতো দেশের বানিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম নগরীও বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে যায়, আর শীতকালে ধুলাবালি, শিল্প বজ্য, পাহাড় কাটার মাঠি ক্ষয়, কলকারখানার কালো ধুয়ায় ক্রমাগত বায়ু দুষণের কারনে বাতাসে সীসা ছড়িয়ে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকদের মতে একজন ধুমপায়ী নিজে তামাক সেবনের মাধ্যমে তার নিজের যে পরিমান ক্ষতি করেন, ধুমপানের ক্ষতিকর বায়ু ছড়িয়ে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করেন শিশু ও গর্ভবতী মা’দের। ঠিক একই ভাবে বায়ু ধুষণের কারনে শিশু ও মা’দের হাপানী, এ্যাজমা, ক্যান্সার, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, শিশুর মেধা বিকাশে প্রতিবন্ধকতা, জন্ডিসসহ নানা জঠিল রোগ ভয়াবহ আকার ধারন করছে। বায়ু দুষণের মূল কারনগুলোর মধ্যে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা স্তুপ, সমন্বয়হীন উন্নয়ন কর্মকান্ড, উন্নয়ন কর্মকান্ডে পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য পৃথক বরাদ্ধ থাকলেও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না করা, বিভিন্ন শিল্প কারখানা, যানবাহনের কালো ধুয়া নির্মগন, শিল্প বজ্য, পাহাড় কাটা ও ইট ভাটার কালো ধুয়া। যে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র অত্যাবশ্যক এবং পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য পৃথক বরাদ্ধ রাখার বিধান থাকলেও সংস্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে যথাযথ তদারকি করছে না। ফলে উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মানছে না খোদ সরকারী সেবা সংস্থা, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, টিএন্ডটি, কর্নফুলী গ্যাস ও সিটি কর্পোরেশন এর উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত ঠিকাদারগন। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো নগরবাসীকে। চট্টগ্রামের বায়ুুর গুণগত মান ক্রমাগত অবগতি ও বায়ু দুষণের ফলে বসবাস অযোগ্য নগরীর মধ্যে অন্যতম হিসাবে চট্টগ্রামের নাম উঠে এসেছে। এ অবস্থায় বায়ু দূষণ রোধে দ্রুত এ দূষণের সাথে জড়িত সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়গুলি কঠোর ভাবে মেনে চলতে বাধ্য করা ও আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানানো হয়েছে।

ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন, বিএড কলেজের অধ্যাপক শামশুদ্দিন শিশির, লেডিস ক্লাবের জিনাত আজম, ইনার হুইল ক্লাবের রেবেকা নাহরিন, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের খালেদা আওয়াল, ক্যাব নেতা তৌহিদুল ইসলাম, লায়ন প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, ক্যাব সদর ঘাটের শাহীন চৌধুরী, ক্যাব জামাল খানের নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, হেলাল চৌধুরী, সালাহ উদ্দীন আহমদ, অ্যাডভোকেট সুচিত্রা গুহ, ক্যাব হালিশহরের উপদেষ্ঠা লায়ন এম আজিজ, ক্যাব চান্দগাঁও এর জানে আলম, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, আবু ইউনুচ, সেলিম সাজ্জাদ, সেলিম জাহাঙ্গীর, রেশমী আকতার, মুক্তা শেখ মুক্তি, লায়ন এম আজিজ, বিবিএফ’র উৎফল বড়ুয়া, জসিম উদ্দীন, নারী যোগাযোগ কেন্দ্রের সালমা জাহান,  দিদারুল আলম প্রধান, ইমতিয়াজ মোরশেদ খান, প্রশিকার শাহাদত হোসেন, নারী নেত্রী রেবা বড়ুয়া, মানবাধিকার ফোরামের জসিম উদ্দীন ও আমেরিকান কর্নারের পরিচালক রুমা দাস প্রমুখ।