অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

১৫ রোজা পর্যন্ত দোকান-পাট রাত ৮ টার পর বন্ধ

0

IMG_1061বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৫ রোজা পর্যন্ত মার্কেটে দোকান-পাট ও বিপণী বিতানসমূহ রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা এবং ১৫ রোজার পর থেকে ঈদ পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে দোকান পাট তাদের প্রয়োজন মতো খোলা রাখতে পারবে।

বৃহস্পতিবার আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক সভায় এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। চলতি গ্রীষ্ম ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয় নিয়ে তাঁর সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড.তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেন, ইফতারের সময় মার্কেটসমূহে এসি বন্ধ রাখতে পারলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। তিনি যত্রতত্র মেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আরো সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৫ রোজা পর্যন্ত মার্কেটে দোকান-পাট ও বিপণী বিতানসমূহ ৮.০০ টা পর্যন্ত খোলা এবং ১৫ রোজার পর থেকে ঈদ পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে দোকান পাট তাদের প্রয়োজন মতো খোলা রাখতে পারবে। তিনি ঈদ উপলক্ষে মার্কেট গুলোতে অযথাই আলোক সজ্জ্বা না করার অনুরোধ জানান।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে উন্নয়নের রেলে উঠিয়ে দিয়েছেন; একটা সময় পর এ ধরনের সভা আর করতে হবে না। তিনি বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে সাশ্রয়ি ব্যবহারের বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় দোকান মালিক সমিতির নেত্রিবৃন্দসহ স্বরাষ্ট্র, বানিজ্য কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোকান মালিক সমিতির সভাপতিএস এ খালেক কিরন, রমজানে মার্কেট আগে বন্ধের বা বিদ্যুৎ বন্ধের কোন কার্যক্রম না নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

এ সময়-নিম্নাক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়- পিক আওয়ারে রি-রোলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন, ইস্ত্রির দোকানসহ অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সরঞ্জামাদির ব্যবহার বন্ধ রাখা; গ্রীষ্মের সময় ও রমজান মাসে রাত ৮ টার মধ্যে দোকান পাট ও বিপণী বিতানসমূহ বন্ধ রাখা; কোন এলাকায় লোডশেড করতে হলে লোডশেডিং সম্পর্কে গ্রাহককে পূর্বেই অবহিত করা; সুপার মার্কেট, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি গ্যাস স্টেশনে প্রয়োজনের বেশি বাতি ব্যবহার বন্ধ করা; ইফতারের ও তারাবীর সময় এসির সাশ্রয়ি ব্যবহার করা; তারাবীর নামাজের সময় লোডশেড না করা; বিদ্যুতের অপচয় রোধে সিএফএল বাল্বের পরিবর্তে এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা; হলিডে স্ট্যাগারিং কার্যক্রম জোরদার করা; চলতি গ্রীষ্ম ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করা; পিক আওয়ারে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।