অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন আজো বাস্তবায়ন হয়নি-ডা শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যার আদর্শ হবে গণতন্ত্র। সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

তিনি আজ ১৪ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা আন্তর্জাতিক অপশক্তি তাদের সে প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করেছে। গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র সমাজ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা বিভেদ, অনৈক্য এবং সংকীর্ণতার দ্বারা জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত মুহূর্তে বীর বাঙালি যখন অত্যাসন্ন বিজয়ের আনন্দে উন্মুখ, ঠিক তখন দখলদার বাহিনীর গুপ্ত ঘাতকরা রাতের আঁধারে মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞে। জাতি হারায় তার অসংখ্য মেধাবী সন্তানকে। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খানসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, আর. ইউ. চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহেদ বক্স, চবি শিক্ষক অধ্যাপক মো. শাহ আলম, সহসাধারণ সম্পাদক মো সামশুল আলম (ডক), শেখ নুরুল্লাহ বাহার, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাব উদ্দিন, এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌ:, আবদুল নবী প্রিন্স, ফাতেমা বাদশা, এইচ এম রাশেদ খান, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, নূর হোসেন, নগর তাঁতীদল সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।