অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সংসদীয় গণতন্ত্রের লেবাসে অবৈধ সরকার সামাজিক নৈরাজ্য কায়েম করেছে: ডা. শাহাদাত

0
.

অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারের অত্যাচার নিপীড়নের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের লেবাসে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নৈরাজ্য কায়েম করেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার কুমানসে অন্যায়ভাবে জেলে রাখা হয়েছে।

তিনি আজ ১৫ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সরকারের অব্যাহত নির্যাতন নিপীড়নে দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে মন্তব্য করে ডা: শাহাদাত বলেন,  এখনই প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। ৩০ ডিসেম্বর জালিয়াতির নির্বাচনে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী সরকারের অপকর্মের জবাব দিতে চট্টগ্রামে বিএনপিকে সুসংগঠিত হতে হবে। সরকারের শত জুলুম নির্যাতনকে উপেক্ষা করে ভয়কে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহ ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খানসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানান।

সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এক বছর নয় মাস ধরে কারাগারে বন্দি। একটি বানোয়াট মিথ্যা মামলায় তাঁকে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু তারপরও এই অমানবিক সরকার বিভিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আদালতকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্ত করছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে এই সরকারের সবচেয়ে বেশি ভয়। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে চট্টগ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

তিনি বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বিনা কারণে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করা নগর তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটুসহ ৬ জনকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবী জানান।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম’র পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ হাজী নুরুল আকতার, ফাতেমা বাদশা, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল নবী প্রিন্স, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আরিফ মেহেদী, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, আলী আজম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, তাহের আহমদ, সাইফুর রহমান শপথ, হাজী নুরুল হক, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, জমির আহমেদ, আবদুল্লা আল ছগির, আলাউদ্দিন আলী নূর, রাসেল পারভেজ সুজন, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, হাসান ওসমান চৌধরী, সিরাজুল ইসলাম মুনসি, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, এরশাদ হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, ইদ্রিস আলম, আসাদুর রহমান টিপু, রাসেল নিজাম, মো. নওশাদ, মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাহ উদ্দিন, মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।