অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে শোকজ

0
.

মোবাইল কোর্টে দেয়া সাজার আদেশের অনুলিপি না দেয়ায় র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম ও রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তারকে শোকজ করেছেন হাইকোর্ট। তাদের তাকে আগামী ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিরপক্ষে করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে র‌্যাব সদর দপ্তরের ১৮ জুলাই দেয়া এক মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি সরবরাহ করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সাত দিনের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘কেন সার্টিফাইড অনুলিপি দেয়া হয়নি আগামী ১ ডিসেম্বর হাজির হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’

আইনজীবী ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসাইন খান জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এর অধীনে ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলের জন্য আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি এটা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আপিলও করতে পারেননি মিজান মিয়া। আপিল করা আবেদনকারীর মৌলিক অধিকার। এ কারণে হাইকোর্টে রিট করা হয় বলে জানান সাখাওয়াত। সুত্রঃ ইউএনবি।