অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

0
.

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীতে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২)কে আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাইফুলকে প্রধান আসামী করে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের মা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত সাইফুলকে কারাগারে প্রেরণ ও বিচারিক আদালতে ২২ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল ইসলাম জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বৃষ্ণপুর গ্রামের বালি বাড়ীর মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। মামলার অপর আসামীরা হচ্ছেন, মিরাজ হোসেন, কামাল ডাক্তার, কবির হোসেন, জাকের হোসেন, মাস্টার ও ফারুক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর পাটোয়ারী বাড়ীর দরজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী (১২) এর সাথে মোবাইলে কথা বলতো মিরাজ হোসেন নামের এক যুবক। এর সূত্র ধরে গত ২১ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ভিকটিমকে মোবাইলে স্থানীয় কুতুবেরহাট বাজারে ডেকে আনে সাইফুল। পরে মিরাজ মাইজদীতে আছে সেখানে যাওয়ার পর তাদের বিয়ে হবে বলে মাস্টার নামের এক সিএনজি চালকের গাড়ীতে ভিকটিমকে তুলে দেয় সাইফুল। মাস্টার ভিকটিমকে নিয়ে কবিরহাট হয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রাত ৮টার দিকে মাইজদী পারিবারিক বডিং এ নিয়ে যায়। পরে বড়িং এ স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে কৌশলে সাইফুল তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ভিকটিমের। পরের দিন রবিবার সকালে সিএনজি চালক মাস্টার বাড়ীতে নিয়ে ভিকটিমকে আটক রেখে পরের দিন সকালে মাস্টার, কামাল ডাক্তার, কবির ও জাকের ভিকটিমকে তাদের বাড়ীর সামনে রেখে পালিয়ে যায়।

সুধারাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনায় বুধবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সাইফুলকে প্রধান আসামী করে সাত জনের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতে অভিযান চালিয়ে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ভিকটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।