অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“মরে গেলেও ক্ষমা চাইবো না”

0

selimনারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন তিনি।

গত শুক্রবার ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাত দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করিয়ে সাজা দেওয়া হয়।

ওই ঘটনার পর সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেলিম ওসমানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও অহ্বানও জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এরই ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।

সেলিম ওসমান বলেন, আমি কার কাছে ক্ষমা চাইব? আল্লাহর কটাক্ষকারীর সাজা হয়েছে। আমি যদি মরেও যাই তাও ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আদালত শাস্তি দিলে মাথা পেতে নিব।

গত ১৩ মে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনৈতিক মহল থেকেও সাংসদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠেছে।

তিনি ক্ষমা চাইবেন কিনা, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সেলিম ওসমান বলেন, আমি ক্ষমাটা কার কাছে চাইবো? শিক্ষকের কাছে? তার সাথে তো আমার সুসম্পর্ক আছে। এলাকার মানুষের দাবি অনুযায়ী আমি এই কাজ করেছি।

তিনি বলেন, তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য আমি সেখানে যাইনি। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে আমি মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছি। আমি না থাকলে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তিনি বাঁচতে পারতেন না।

সেলিম ওসমান বলছেন, যেভাবে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ হয়েছে, তাতে আমি লজ্জিত হতে পারি, দুঃখিত হতে পারি। কারণ আমি সমাজের কাছে ছোট হয়েছি।
এ ঘটনার তদন্ত যতদিন শেষ না হবে, ততদিন তিনি অন্যান্য সংগঠন বা সংসদ সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান।

শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় জাতীয় পার্টির স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে বুধবার একটি রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।