অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হুমকী,হামলার ভয়কে উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহবান আবু সুফিয়ানের

0
.

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামীলীগ মানুষের বাকস্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে আওয়ামী যঁতাকলে নিষ্পেষিত করেছে। তাই উপনির্বাচনে মুক্তিকামী মানুষ এর থেকে উত্তরণের জন্য ধানের শীষকে বেচে নিয়েছে।

জনতার অভূতপূর্ব সাড়া ও স্বত:স্ফূর্ততাকে নিজের শক্তি হিসেবে অবহিত করে তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত এই আসনে ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আওয়ামীলীগ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করছে। গতকাল রাতে চান্দগাঁও আবাসিকের বি-ব্লকে নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেনকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে মারাত্মক আহত করেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণার গাড়ী ভঙচুর ও পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারকে জানালেও তারা কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি আজ ১ জানুয়ারী বুধবার চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে নগরীর বাহির সিগন্যাল এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করে আল আমিন বারিয়ার বারি শাহ হুজুরের মাজার জেয়ারতের পর বড়–য়া পাড়া, নাথ পাড়া, শংকর দেওয়ানজীর হাট, বেপারী পাড়া, টেকবাজার পুল, সিএন্ডবি, মৌলভী পুকুর পাড় হয়ে শরাফত উল্লাহ প্রেট্রোলপাম্পের পাশে এক পথসভায় এ কথা বলেন।

তিনি নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। তারা এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নেতাকর্মীরা এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে ধানের শীষে ভোট চেয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন। এ সময় তিনি বলেন, জনগণের ভোটে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কর্ণফুলীল নদীর উপর কালুরঘাটে সড়কসেতু ও রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। মাদক সন্ত্রাস, চুরি রাহাজানী প্রতিরোধ করে বাসযোগ্য চান্দগাঁও ও বোয়ালখালী গড়ে তুলবো। শহরের পাশের অবহেলিত বোয়ালখালীকে উন্নত উপশহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবো।

তিনি আওয়ামীলীগের হুমকী ও হামলার ভয়কে উপেক্ষা করে ১৩ জানুয়ারী ভোট গণনার আগ পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র পাহারা দেয়ার আহবান জানান। গণসংযোগে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর অংশ নেন।

পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছিল। সে নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে নাই। ভোট ডাকাতী করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামীলীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। আওয়ামীলীগ গতবারের মত পেশী শক্তির জোরে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা জানে ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তাদের চরম ভরাডুবি হবে। তাই এই উপনির্বাচনেও ৩০ ডিসেম্বর মত হামলা ও গাড়ী ভাঙচুর করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তিনি সমস্ত ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে ১৩ জানুয়ারী আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয় করার আহবান জানান।

পথ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। বিচার ব্যবস্থাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তার জামিন প্রক্রিয়াকে বার বার বাধাগ্রস্ত করছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কারণ আওয়ামীলীগ সুষ্ঠু নির্বাচনকে সবচেয়ে বেশী ভয় পায়। তাই আমরা এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। তাই ১৩ জানুয়ারী আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয়ী করে সরকার সকল অপকর্মের জবাব দিতে হবে।

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামরুল ইসলাম, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর মো. আজম, নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহপ্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান, থানার সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন খান, আফতাবুর রহমান শাহীন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন, ২০ দলীয় নেতা আনোয়ার সাদেক, শ্রমিক দল নেতা ইদ্রিস মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লা আল ছগির, ফারুক আহমদ, রাসেল পারভেজ সুজন, সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান ওসমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, জসিম উদ্দিন, মনসুর আলী, মো. নাসির, মো. জামাল, আবুল বশর, হাজী মো. কামাল উদ্দিন, মো. ওসমান গণি, মো. আলম, মো. ছৈয়দ, মো. জাহাঙ্গির আলম, নুহ গাজী সেলিম, মো. নেওয়াজ, মো. আইয়ুব,

অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এস এম রব, জিয়াউর রহমান জিয়া, নুরুল আমিন, মো. আলমগীর, আরিফুল ইসলাম, মো. আলা উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন আনু, মো. ইদ্রিছ, মো. ওসমান, মো. সিরাজ প্রমুখ।