বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ বাঙালি বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা কাল ১৫ অক্টোবর যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহাসমারোহে উদযাপিত হবে। ফানুসের আলোকরশ্মিতে আলোকিত হবে আকাশ।
সারাদেশের ন্যায় বোয়ালখালীতে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে প্রবরণা পূর্ণিমা।
উপজেলার প্রতিটি বৌদ্ধ পল্লীর বিহারগুলোতে এক সপ্তাহ ফানুস বানানোয় ব্যস্ত ছিল। ত্রৈমাসিক বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে বিহারগুলোতে দিনব্যাপী নানা মাঙ্গলিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিহারগুলোকে বর্ণিল সাজে সজ্জিতকরণ, সকালে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, উপোসথ গ্রহণ, বিকেলে প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোাচনা সভা, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা। সন্ধ্যায় সাম্য-মৈত্রী করুণার বাণী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে রঙ-বেরঙের ফানুস উত্তোলন। পরদিন থেকে শুরু হবে মাসব্যাপী দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান। স্বধর্ম প্রচারে বেড়িয়ে পড়বেন ভিক্ষু সংঘরা। তাঁরা গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে যাবেন।
বোয়ালখালীর হাজারীরচর জ্ঞানাঙ্কুর বিহারে প্রজাপতি, মাছ, হস্তি ও বিমানের আদলে বানানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আদলে রঙ-বেরঙের ফানুস। এক মাস ধরে কলেজ পড়ুয়া পঙ্কজ বড়ুয়া ও তার সহযোগী দুকুল বড়ুয়া দৃষ্টিনন্দন এসব ফানুস তৈরি করেছেন।
এছাড়াও কধুরখীল জ্ঞানোদয় ও মারজিন বিহার, গোমদণ্ডী জ্ঞানোদয় বিহার, শাকপুরা ধম্মানন্দ বিহার, প্রজ্ঞাবংশ ভাবনা কেন্দ্র, তপোবন বিহার, লালচাঁদ বিহার, সারোয়াতলী রত্নাংকুর বিহার, বৈদ্যপাড়া সর্বজনীন বিহার, বোধিদ্রুম বিহার, শাক্যমুণি বিহার, কড়লডাঙ্গা গৌতমমুণি বিহার, আমুচিয়া ধর্মদূত বিহার, দক্ষিণ জ্যৈষ্ঠপুরা কেন্দ্রীয় বৈশালী বিহার, জ্যৈষ্ঠপুরা শান্তিময় বিহার, শাক্যমুণি বিহার, অতিশ দীপংকর বিহার, শ্রীপুর বোধিসত্ব বিহার, শাক্যমুণি বিহার, মৈত্রী বিহার, খরণদ্বীপ আর্য্যবোধি বিহার, তথাগত বিহার ও চরণদ্বীপ জ্ঞানাঙ্কুর বিহারে উৎসবমুখরতায় ফানুস উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রবারণা উৎসব উৎযাপিত হবে।
Kokhon hobe vaia?
নিউজে উল্লেখ্য আছে,,