অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এএসপি পরিচয় দিয়ে দুই সন্তানের মাকে বিয়ে করেন ছাত্রলীগ নেতা আকিব

0
.

নিজেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নারীকে বিয়ে এবং ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিবুর রহমান আকিব।

পরে দুই সন্তানের জননীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে বাকলিয়া থানাধীন বলিরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আকিব আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের নুরুল আবছারের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রেফতারের পর বিকালে এই ছাত্রলীগ নেতাকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার জাহানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

.

এ মামলার এজাহারে ভিকটিম ওই নারী অভিযোগ করেন, স্বামীর সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদ হয় গত বছরের ৩ জুলাই। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের নিয়ে তিনি আলাদা থাকতেন। এর মধ্যে ফেসবুকে তাহসান খান পিজন নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে নিজেকে এএসপি পরিচয় দেয়।

এতে উৎসাহী হয়ে ওই যুবকের সঙ্গে তিনি ফেসবুকে কথা বলেন। একপর্যায়ে তাহসান বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। গত বছরের ৭ আগস্ট তারা বিয়ে করেন।

নিকাহনামায় তার নাম ‘তাহসান খান আকিব’ এবং বাবার নাম মো. আশরাফ খান, মাতা- মোছা. আসমা খানম উল্লেখ করা হয়। ঠিকানা লেখা হয়- নগরীর কোতোয়ালি থানার জামালখানে খান ম্যানশনে।

ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বিভিন্ন হোটেলে রাতযাপন করেন এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। বাকলিয়ার ডিটি রোডে একটি বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন।

পরে ওই নারী তাকে ঘরে তুলে নেয়ার জন্য আকিবকে চাপ দিলে নানা টালবাহানা শুরু করে। ওই নারীর কাছ থেকে আকিব একটি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় অন্তত ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ টাকা চাইতে গেলে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

একপর্যায়ে ওই নারী জানতে পারেন আকিব একজন প্রতারক। ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলে অনেক নারীর সর্বনাশ করেছে।

বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা নয়, আকিবের বিরুদ্ধে সকালে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে বাকলিয়া থানার বলিরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর পর কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।